সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের সেই গোলাম রাব্বানীকে তুলোধুনা

| আপডেট :  ২৯ জুন ২০২২, ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ জুন ২০২২, ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

বি’তর্কি’ত কর্মকাণ্ডের অ’ভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হা’রান গোলাম রাব্বানী। পদে থাকাকালে নানান অ’পকর্মে জড়ানোরও অ’ভিযোগ ছিল তার বি’রুদ্ধে। এবার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নিয়ে আবার সমালোচনায় পড়েছেন রাব্বানী।

রবিবার পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটকের অ’ভিযোগে গ্রে’প্তার বায়েজিদ তালহার সঙ্গে রাব্বানীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর তাকে নিয়ে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা। তবে রাব্বানীর দাবি, তিনি বায়েজিদ নামের ওই যুবককে চেনেন না।

এদিকে বায়েজিদ-রাব্বানীর ভাইরাল ছবিতে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। রাব্বানীর উদ্দেশে মিজান শামীম নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি ঠিক বলেছেন, তবে আকাম করে যেইটাই ধরা খায় সেইটার সাথেই আপনার ছবি পাওয়া যায় কেন?’

মোহাম্ম’দ আজহার নামের একজন লিখেছেন, ‘রাব্বানী নির্বোধ চোরের দলের সর্দার।’ মো. মিফাত উদ্দিন লিখেছেন, ‘বিএনপির পোলার লগে তুমি ছবি তুলছো, তার মানে তুমি ধান্ধাবাজ।’ বায়েজিদ-রাব্বানীর ছবিতে তারেক নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘দেখলা ভাই রাব্বানী কেমনে পল্টি মারলো।’

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সেসময় তার বি’রুদ্ধে চাঁ’দাবাজি, দু’র্নীতিসহ বিভিন্ন অ’ভিযোগ ওঠে। তখনকার সভাপতি রেজুওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বায়েজিদের সঙ্গে রাব্বানীর ছবি ও ফেসবুকে তা ভাইরাল হওয়া নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে কথা হয় ঢাকা’টাইমসের। রাব্বানীর বক্তব্যকে ভিত্তি করে ঢাকা’টাইমসে ‘ছবি থাকতেই পারে, বায়েজিদকে চিনি না’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় গতকাল।

ঢাকা’টাইমসের ফেসবুক পেজে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য এমন- ‘চিনবা কেমন করে, তুমি তো চু’রি করে আন্তর্জাতিক নেতা হয়ে গেছো।’ আর ফরিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘চোরে চোরে ভাই, রাব্বানী সেই। বড় ভাই, আপনার চেনার কথাও না, কারণ আপনি নিজেও ছাত্রলীগ থেকে একজন ব’হিষ্কৃ’ত লোক।’

যানচলাচল শুরুর দিনে সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক করেন বায়েজিদ তালহা নামের এক যুবক। এ ভিডিও ভাইরাল হলে শুরু হয় সমালোচনা। তাকে ধরতে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই দিন বিকালে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে আ’টক করে পুলিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বিভাগ-সিআইডি। পরে তার বি’রুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মা’মলা হয়।

বায়েজিদকে আ’দালতে তোলা হলে সাত দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আ’দালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান। বর্তমানে বায়েজিদকে জি’জ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে রি’মান্ডে নেওয়ার দাবি করে মনির হোসেন নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘গোলাম রাব্বানীকেও রি’মান্ডে নেওয়া হোক। কারণ ওর সঙ্গে ছবি উঠেছে তা রাব্বানী নিজেই জানে না, মি’থ্যা কথা বলেছে।’

রানা নামের একজন ব্যবহারকারী রাব্বানীকে ‘পল্টিবাজ নেতা’ বলে মন্তব্য করে লিখেন, ‘স’রকার তাকে অপসারণ করে খা’রাপ কিছু করেনি।’

জুলফিকার রহমান নামের একজন চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন রাব্বানীর সঙ্গে। লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ছবি কোনো অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভার নয়, এটা একান্তই একটি রুমের ছবি। আপনি লুঙ্গি পরে ছবি দিয়েছেন। আপনার মি’থ্যা বলার কোনো সুযোগ নেই রাব্বানী ভাই।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বি’রুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্যের কড়া জবাব দেন রাব্বানী। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছেলেকে (বায়েজিদ তালহা) চিনিও না। আর চার বছর আগের একটা ছবি নিয়ে যারা এসব মন্তব্য করছে তারা মা’নসিকভাবে অ’সুস্থ বলে মনে হয়। আমি রাজনীতি করি। আমার সঙ্গে হাজার হাজার না লাখ লাখ মানুষ ছবি তোলে। তাদের কেউ অ’পরাধ করলে তো আমি দায়ী না।’সূত্রঃ ঢাকাটাইমস