ভারতীয় প্রকৌশলীকে ‘মধুর ফাঁদে’ ফেলে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার তথ্য হাতিয়ে নিলো ‘পাকিস্তানি’ নারী!

| আপডেট :  ২৪ জুন ২০২২, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ জুন ২০২২, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সাথে যুক্ত একজন প্রকৌশলীকে ‘মধুর ফাঁদে’ ফেলে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন সন্দেহভাজন পাকিস্তানি একজন নারী গুপ্তচর। তেলেঙ্গানা পুলিশ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে। তাকে শুক্রবার তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে ওই নারী মল্লিকার্জুনা রেড্ডি নামে ২৯ বছর বয়সী ওই ভারতীয় প্রকৌশলীকে বিয়ের প্রলোভনে প্রলুব্ধ করেছিলেন।ভারতীয় প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন গবেষণাগারের (ডিআরডিএল) কর্মী রেড্ডি সে সময় নৌ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছিলেন। ২০১৮ সালের মার্চে ওই প্রকৌশলী ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ডিআরডিএলে চাকরি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এর দুই বছর পর তিনি ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান।

তাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের শুরু ফেসবুকে ‘নাতাশা রাও’ নাম নেয়া ওই নারীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের মাধ্যমে। তিনি রেড্ডিকে জানিয়েছিলেন যে তিনি যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা জার্নালের একজন কর্মী এবং থাকেন ব্যাঙ্গালুরুতে।ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার পর ‘রাও’ রেড্ডিকে জানিয়েছিলেন, তার বাবা ভারতীয় বিমান বাহিনীতে (আইএএফ) কাজ করতেন।

‘নাতাশা রাও’ রেড্ডিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রেড্ডিও তার ‘প্রেমে পড়ে যান’। এরপর ‘নাতাশা’ ধীরে ধীরে ওইসব বিষয়ে জানতে চান। আর রেড্ডিও ডিআরডিএলের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন ছবি ও টেক্সট ‘নাতাশা’কে পাঠাতে থাকে। ভারতের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রায় এক বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন ‘নাতাশা রাও’। কিন্তু এর পর তিনি তার প্রোফাইল নেম ‘সিমরান চোপরা’য় পরিবর্তন করে ফেলেন।এর আগে ২০১৮ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তাকেও গুপ্তচারবৃত্তি ও তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রুপ ক্যাপ্টেন অরুণ মারওয়াহা (৫১) দুটি এজেন্টের কাছে নথি ফাঁস করার জন্য ধরা পড়েছিলেন। ওই এজেন্টগুলো নিজেদের নারী হিসেবে উপস্থাপন করে তার সাথে চ্যাট করেছিলেন।সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন