মাথায় রক্ত উঠে গেলে, কেউ মাঠে থাকবে না: শামীম ওসমান

| আপডেট :  ২৩ জুন ২০২২, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ জুন ২০২২, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘অনেকেই এখন মানবতার কথা বলেন। মাথায় আস্তে আস্তে রক্ত উঠতেছে। মাথায় রক্ত উঠে গেলে, কেউ মাঠে থাকবে না। কারণ আমরা রাস্তার লোক, রাস্তা থেকেই সৃষ্টি হয়েছি। সমস্ত গণতন্ত্রের চর্চার আমাদেরকেই করতে হবে? সব দায়-দায়িত্ব শেখ হাসিনারই? ২১ শে আগস্টের ঘটনা, ১৬ জুনের ঘটনা ঘটল।

১৬ জুনের ঘটনার পর বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনার, শেখ রেহানার, বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাশ করার জন্য নারায়ণগঞ্জে এই বোমা বিস্ফোরণ আমরা ঘটিয়েছি।বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা শিল্পকলা সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজে একটা ভবন হওয়ার কথা ছিল, জাহানারা ইমাম ভবন নয়, আমার আব্বার নামে ভবন হওয়ার কথা ছিল। বিএনপির আমলে নারায়ণগঞ্জে এক সভায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এসেছিলেন। জাহানারা ইমাম সেদিন মুক্তিযুদ্ধের ঘাতকদের বিচার চেয়েছিলেন। জাহানারা ইমাম ফেরার সময় আমাকে ধরে গাড়ি পর্যন্ত দিয়ে আসতে বলেছিলেন। সেসময় একটা বিল্ডিং থেকে গুলি বর্ষণ হচ্ছিল আমাদের উপরে। গুলি প্রতিরোধ করেই মিটিং করেছিলাম। জাহানারা ইমাম সেদিন আমায় বলেছিলেন আমার যেমন ক্যান্সার এই দেশটারো ক্যান্সার হয়েছে।

এই দেশটাকো জড়িয়ে ধরো। দেশটাকে বাঁচাও। এরপর আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘোষণা দিলাম, নারায়ণগঞ্জে পবিত্র মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদর শ্রেণির মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সাইনবোর্ড এলাকায় ‘রাজাকার এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ’ ঘোষণা দিয়ে একটা সাইনবোর্ড টানানো হলো। পার্লামেন্টে একজন বললেন, তোকে আমি দেখে নিবো। জানলাম, আমাকে মেরে ফেলা হবে। অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় ভেবেছিলাম, সামনে থেকে গুলি করে মারবে। ২১ বছর আগে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে জাহানারা ইমাম ভবন করার কারণে কয়েকজনের কথায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম। অবাঞ্ছিত ঘোষনার পরিনতি ছিল বোমা বিস্ফোরণ।

তিনি প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চের কথা উল্লেখ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটা প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ করেছিলাম। যেদিন প্রতীকী অনশন করি, সেদিনই বোমা বিস্ফরণ হওয়ার কথা ছিল। আমার মঞ্চের পাশেই বিশাল বোম নিয়ে একজন ধরা পরেছিল। তার কী হয়েছে জানি না আমরা।

সংসদ শামীম ওসমান বলেন, আমরা খুব সুখের ঢেকুর দিচ্ছি। সামনে সুখের ঢেকুর দেওয়ার সময় আসবে না। পলিটিক্স হলো ম্যাথমেটিক্স। যে ম্যাথামেটিক্স জানে না তার জন্য পলিটিক্স করাটা খুবই কঠিন। বঙ্গবন্ধু ম্যাথমেটিক্স জানতেন বলেই দেশ স্বাধীন করেছেন। শেখ হাসিনা জানেন বলেই এতো বড় অপশক্তির সাথে লড়াই করছেন। দেশের সব আন্দোলনেই বড় অবদান রেখেছে আমাদের নারায়ণগঞ্জ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা প্রমুখ।