পদ্মাসেতুর মাধ্যমে একক রেল নেটওয়ার্কে আসছে সারাদেশ

| আপডেট :  ২৩ জুন ২০২২, ০১:৪৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ জুন ২০২২, ০১:৪৮ অপরাহ্ণ

ঢাকা থেকে খুলনা চলাচল করে সুন্দরবন এক্সপ্রেস। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী হলেও উল্টো উত্তর দিকে যাত্রা করে বঙ্গবন্ধু সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় ট্রেনটিকে। ৫৩৭ কিলোমিটার দুরত্বের এই পথের ন্যুনতম ভাড়া ৪২০ টাকা। পদ্মাসেতুর কারণে এই দুরত্ব কমবে অর্ধেকেরও বেশি। বাঁচবে সময় ও অর্থ।

একইভাবে ঢাকা থেকে যশোরের ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বও নেমে আসবে ১৭২ কিলোমিটারে।পুরো প্রকল্প সম্পন্ন হবে ২০২৪ সালে। তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত আগেই চালুর পরিকল্পনা আছে সরকারের।মূলত, পদ্মাসেতুর মাধ্যমে একক রেল নেটওয়ার্কে আসবে সারাদেশ। রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত হবে দেশের প্রায় সব অংশ।

ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ব্রডগেজ লাইনটি কমলাপুর থেকে পদ্মাসেতু হয়ে পদ্মভিলা পর্যন্ত যাবে। এরপর একটি শাখা যাবে যশোরের রূপদিয়া স্টেশন এবং অন্যটি খুলনার সিংগিরা স্টেশনে। আইপিডি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পরিকল্পনার সময়ই কানেক্টিভিটি নিয়ে চিন্তা করা হয়েছে এবং বন্দরগুলোর (মোংলা ও পায়রা) উপযোগিতা নিশ্চিত করা।

ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের এই রেলপথের কোথাও থাকছে না লেভেল ক্রসিং। পৌঁছানো যাবে মাত্র পৌনে দুই ঘণ্টায়। এই রেলপথের মাধ্যমে জাতীয়-আর্ন্তজাতিক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল।

অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান আরও বলেন, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রেও পদ্মাসেতুর প্রভাব থাকবে বলা হচ্ছে। আমাদের দেশের বাইরে যে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি, সেটা নিয়ে এখনই আশাবাদী হওয়ার মতো পর্যায়ে আসেনি। যেহেতু সংযোগগুলো তৈরি করা হয়েছে, ভবিষ্যতে কাজে আসবে। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে প্রায় ১ শতাংশ অবদান রাখবে পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ।