৭০০ মেট্রিক টন ত্রাণের ব্যবস্থা করলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ’র আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

| আপডেট :  ২৩ জুন ২০২২, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ জুন ২০২২, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের ১১ জেলায় বন্যা দেখা পরিস্থিতির দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় সেখানকার মানুষের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। যার কারণে লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ দিন পার করছেন। বাসস্থান ত্যাগ করে হাজারো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন।

বন্যার এই কঠিন সংকট মোকাবেলায় সরকার থেকে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও এখনো খাবারের সংকটে আছেন অনেক বানভাসি মানুষ। বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারি উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। থেমে নেই বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানও। সকলেই স্ব স্ব উদ্যেগে এই বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যর জন্য এগিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বন্যার্তদের জন্য কয়েক টন খাবারের ব্যবস্থা করেছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

বন্যার্তদের জন্য ৭০০ মেট্রিক টন জরুরী ত্রাণ সামগ্রী কেনার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। বুধবার (২২ জুন) ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় এই তথ্য জানান তিনি।

ভিডিওতে তিনি জানান, বন্যার্তদের জন্য ৭০০ মেট্রিক টন ত্রাণ বিতরনের ব্যবস্থা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ইতিমধ্যেই ৭০০ মেট্রিক টন জরুরী ত্রাণ সামগ্রী কেনার কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো ধাপে ধাপে বিতরন করা হবে। ইতোমধ্যে ৮৩.৫ টন ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ রাতে সেনাবাহিনীর কাছে ১০০ মেট্রিক টন হস্তান্তর করা হচ্ছে। ফাউন্ডেশনের অফিসে আজ রাতের মধ্যে প্রস্তুত হচ্ছে আরও ১০০ টন। মোট ২৮৩ টন বিতরনের পরে বাকি ৪০০ টন ত্রাণ আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যেই বিতরনের ব্যবস্থা করা হবে। পর্যায়ক্রমে মোট ৭০০ টন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

একটি পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেজে, ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি খেজুর, ১ কেজি লবন, ১ কেজি ছাতু, ১টি সাবান থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোট ২০ হাজার পরিবারের কাছে এই প্যাকেজ পৌছে দেওয়া হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মালামালের বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, ৩০০ টন চাল, ৮০ টন খেজুর, ৬০ টন ডাল, ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টন লবন, ৪০ হাজার প্যাকেট হলুদ-মরিচ, ৪ টন ছাতু, ১ টন শিশুখাদ্য (গুড়ো দুধ), ২০ টন চিড়া, ৪০ হাজার লিটার পানি, ১৩.৫ টন ভূসি, ১০ হাজার মোমবাতি, ১০ হাজার পিস এন্টিসেপ্টিক সাবান, ১৮ হাজার মেডিসিন ইত্যাদি…।