বিয়ের দশ মাস পর স্ত্রী জানতে পারলেন, ‘স্বামী আসলে নারী’!

| আপডেট :  ২০ জুন ২০২২, ০৩:৩৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ জুন ২০২২, ০৩:৩৮ অপরাহ্ণ

দুজনার পরিচয় হয় একটি অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইটে। সেখান থেকেই পেশায় শল্যচিকিৎসক ও ব্যবসায়ী এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন এক নারী। বিয়ের দশ মাস পর জানা গেল, ওই শল্যচিকিৎসক পুরুষই নন! প্রতারণার অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারীর দাবি, অনলাইন ডেটিং সাইটে আলাপ হওয়ার পর প্রায় তিন মাস তারা মেলামেশা করেন। কিন্তু বিশেষ কোনো শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়নি দুজনের মধ্যে। তারপরই অভিযুক্ত ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব দেন তাকে। বিয়ের জন্য রাজিও হয়ে যান ওই নারী। কিন্তু তার অভিযোগ, আইনত নয়, আপাতত গোপনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত। বিয়ের খরচ বাবদ ওই নারী ও তার পরিবারের তরফ থেকে ওই ব্যক্তি প্রায় ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ।

নারীর অভিযোগ, বিয়ের পরেও টাকা চাওয়া বন্ধ করেননি অভিযুক্ত। নিজের ব্যবসাপত্র থাকার পরেও এমন টাকা চাওয়া দেখে সন্দেহ হয় ওই নারী ও তার পরিবারের। ঝামেলা শুরু হয় দুই পক্ষের। ঝামেলা চলাকালীনই নারী জানতে পারেন, যার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, তিনি আদৌ পুরুষই নন! বিষয়টি জেনে যাওয়ার পর তাকে দীর্ঘদিন বাড়ির মধ্যে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

মেয়ের কোনো রকম খোঁজ না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তার মা। দক্ষিণ সুমাত্রা থেকে তাদের খুঁজে বের করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকের ডিগ্রি থেকে ব্যবসা, কোনো কিছুরই কোনো নথিপত্র দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত। আপাতত নিজের পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন অভিযোগকারি ঐ নারী।