খেলায় খারাপ করলেই কঠিন শাস্তির বিধান চান সাকিব

| আপডেট :  ১৮ জুন ২০২২, ০১:৫৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ জুন ২০২২, ০১:৫৯ অপরাহ্ণ

সাকিবের ধরনটাই এমন। হাসতে হাসতেই কঠিন সত্যটা বলে দেন। তাতে কেউ কিছু মনে করল কি করল না, তা তিনি খুব একটা পাত্তা দেন না। অ্যান্টিগায় ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পর যেমন একটা কড়া বার্তা দিয়েছেন ব্যাটারদের। ‘ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁদের কাজ তাঁদেরই করতে হবে। কেউ এসে তাঁদের মুখে তুলে খাইয়ে দেবে না।’

ডিউক বলে খেলা, পিচে ঘাস ছিল, কন্ডিশন ভিন্ন, বল সুইং করেছে- এ ধরনের খোঁড়া অজুহাত অন্তত অধিনায়ক সাকিবের কাছে যে ধোপে টিকবে না, তারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। ‘দলের এই অবস্থার কোনোভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেখি না। আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই।

জানি না অন্য কারও কাছে আছে কিনা। সাধারণত যেটা হয়, কোচ-অধিনায়কের কাজটা সহজ। ধরুন কেউ পারফর্ম করল না, তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া। এটাই সবচেয়ে সহজ কাজ কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচকদের। তুমি পারফর্ম করছ না, বাদ দিয়ে দিলাম।’

বার্তা তাঁর পরিস্কার- হয় রান করো, না হয় বিদায় হও। কেউ ইনিংসের পর ইনিংস ফ্লপ করেও দিনের পর দিন দলে জায়গা পেয়ে যাবেন- এটা অন্তত সাকিব মেনে নেবেন না। তা সেই ব্যাটারের নামের ওজন যতই ভারী হোক না কেন। ‘অভিজ্ঞ’ কিংবা ‘নবাগত’- এসব অনুকম্পাও চলবে না সাকিবের দলে।

টপঅর্ডারে দুই, তিন ও চার নম্বর ব্যাটাররা দিনের পর দিন রান খরায় ভুগছেন। তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা মাহমুদুল হাসান জয়, গত সাতটি ইনিংসের পাঁচটিতে দশের নিচে আউট হয়েছেন। তাঁর ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারের পাঁচটিতেই ‘শূন্য’। অথচ এর মধ্যেই আগামীর সম্ভাবনা আছে বলে ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ দিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত, সর্বশেষ ৫টি টেস্ট ইনিংসে তাঁর রান ১৮! তিন বছর ধরে নিয়মিত টেস্ট খেলে যাচ্ছেন, তাঁর সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ ইনিংস আগে। মাঝে একটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া সব ক’টিতেই ফ্লপ। তার পরও নির্বাচকদের আস্থা শান্তর ওপর অটুট রয়েছে।

চার নম্বরে নামা মুমিনুল হকের অবস্থাও শোচনীয়। সর্বশেষ আট ইনিংসে তাঁর মোট রান ২৪। যার মধ্যে আবার তিনটিতেই শূন্য, ২১ ইনিংস আগে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। এভাবে দলের প্রথম সারির তিন ব্যাটার যদি ফ্লপ করতে থাকেন, তাহলে ইনিংস লম্বা হবে কীভাবে? এক দু’বার নয়, এ বছরই পাঁচবার টপঅর্ডারে ধস নেমেছে পঞ্চাশের নিচে!

এই ব্যর্থতার দায় টপঅর্ডারের কেউই এড়াতে পারেন না। এমন ফ্লপ ব্যাটারদের দিয়ে দল সাজিয়ে সাকিবের হাতে ধরিয়ে দিলেই তিনি যে মেনে নেবেন, সেটা ভাবার দিন বোধহয় শেষ। এটা মুমিনুল নন যে, ম্যাচের একাদশও অন্য কেউ করে দিয়ে মাঠে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে, এই সাকিব ‘বোর্ডেরও অধিনায়ক’।