সিলেট ও সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনী মোতায়েন

| আপডেট :  ১৭ জুন ২০২২, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ জুন ২০২২, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ সিলেটের প্রধানতম নদী সুরমার দুই রূপ। বর্ষায় দুকোল উপচে ডুবিয়ে দেয় জনবসতি। আর গ্রীষ্মে পানি শুকিয়ে পরিণত হয় মরা গাঙে। জেগে উঠে চড়। বারবার বন্যার কবলে সিলেট। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে জেলার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদীর তীর উপচে নতুন করে বিভিন্ন বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। পানির উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের আহ্বানের প্রেক্ষিতে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় বলা হয়, অসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে বন্যা নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর বাইরে জেলার ছোট ছোট অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে।

সিলেট অঞ্চলের বন্যাকবলিতরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বারবার বন্যার কবলে আমরা। দ্বিতীয় দফায় আবার বন্যাকবলিত হওয়ায় অনেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অধিকাংশ এলাকায় বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় অনেকে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। নগর ও পাঁচটি উপজেলায় অন্তত চার থেকে সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন বলে বানভাসিরা জানিয়েছেন।

এদিকে, সারাদেশের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে জেলা সদরের প্রতিটি মহল্লা, অলিগলিতে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিটি মহল্লার ঘরের ভেতরে হাটু পানি সড়কে কমর পানি। খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।