গাজীপুরে চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান

| আপডেট :  ১৪ জুন ২০২২, ০৮:০৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ জুন ২০২২, ০৮:০৬ অপরাহ্ণ

অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট গাজীপুর জেলার নেতৃবৃন্দ ১৪ জুন,সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোঃ হুমায়ুন কবির।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের গাজীপুর জেলা শাখার আহবায়ক ও বাকশিসের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও বাশিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আক্তারুল আলম মাষ্টার, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন, বিশিষ্ট পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, বাশিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সেক্রেটারী ফজলুল হক কুসুম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট নেতা প্রভাষক শামসুজ্জামান শিকদার, মন্তোষ কুমার প্রমূখ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর লেখা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের যৌথ স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপিতে বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলে, শিক্ষক শিক্ষার মেরুদন্ড। কিন্ত আজ শিক্ষক সমাজ অবহেলিত ও বিভিন্নভাবে হয়রানি নির্যাতনের শিকার। শিক্ষকদের চাকুরীর নিরাপত্তা, আর্থিক স্বচ্ছলতা,সামাজিক মর্যাদা নেই বলে মেধাবীরা এই পেশায় আসতে চায়না।

সরকারী বেসরকারী স্কুল, কলেজ,মাদরাসা শিক্ষক- কর্মচারীদের সমযোগ্যতা ও সমঅভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও বেতন ভাতার বৈষম্য রয়েছে। সরকারী স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়। অথচ শিক্ষকদের বেতন স্কেলের ২৫% ও কর্মচারীদের ৫০% উৎসব ভাতা দেয়া হয়। এটা বিমাতা সূলভ আচরণ। বেসরকারী কলেজ ও মাদরাসায় এখনো সহযোগি অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করা হয়নি।

এ অবস্থায় শিক্ষা ও শিক্ষককে বাঁচাতে হলে বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। স্মারকলিপিতে শিক্ষায় বিভিন্ন বৈষম্য তুলে ধরে এর প্রতিকারের লক্ষ্যে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়ার জোড়ালো দাবী জানানো হয়। অন্যথায় আগামী ৫ অক্টোবর ঢাকার শিক্ষক কর্মচারীদের মহাসমাবেশ থেকে চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন।