রডের দামে আগুন, দাম আরও বাড়বে

| আপডেট :  ১৩ জুন ২০২২, ১২:০৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ জুন ২০২২, ১২:০২ অপরাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ বেড়েই চলেছে নির্মাণসামগ্রী রডের দাম। দাম এমন অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাড়ি নির্মাণকারী, আবাসন ব্যবসায়ী ও সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতোমধ্যেই ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। এবারের বাজেটে রড তৈরির কাঁচামালে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানো হয়েছে। যা ২০০ টাকা।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রড। এর দাম বাড়লে রাস্তাঘাট ব্রিজ, কালভার্টসহ অবকাঠামো উন্নয়নকাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাজেটে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত কাঁচামাল স্ক্র্যাপ (পুরোনো লোহা) সংগ্রহের ওপর প্রতি টনে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা।

স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত মেলটেব বা গলানো স্ক্র্যাপে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। নতুন বাজেটে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়, তার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে।

রডের প্রধান কাঁচামাল পুরোনো লোহালক্কড় বা স্ক্র্যাপ আমদানি করে তা রি-রোলিং মিলে গলিয়ে রড তৈরি করা হয়। ৩০ শতাংশ স্ক্র্যাপ সংগ্রহ করা হয় অভ্যন্তরীণভাবে। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ও পুরাতন জাহাজ কেটে তা থেকে স্ক্র্যাপ সংগ্রহ করা হয়। আর বাকি ৭০ শতাংশ স্ক্র্যাপ আমদানি করা হয়।

মিল-মালিকদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বার্ষিক রডের চাহিদা ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টন। এর মধ্যে সরকারি উন্নয়নকাজে ব্যবহার হয় ৬০ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ বেসরকারি খাতে।

স্থানীয় রড ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাড়তি ভ্যাটের কারণে প্রতি টন রডের বর্তমান যা দাম, তার চেয়ে আরও ১ হাজার টাকা যোগ হবে। বাজারে এখন প্রতি টন রড ৮৪ থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।