যুদ্ধ করেও মেলেনি স্বীকৃতি, এখন কাঠ চেরাই করে সংসার চলে

| আপডেট :  ৯ জুন ২০২২, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ জুন ২০২২, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশ ডেস্কঃ ৮০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও পেটের তাড়নায় কুড়াল নিয়ে ছুটছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। কখনো কাজ মেলে। কখনে মেলে না। ফলে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটে আপতার শেখের। কাঠ চেরাই করে সংসার চালান তিনি। একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা আপতার শেখ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বলেন,যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি তারা ভাতা পায়, ঘর পায়, আর আমি কাঠ চেরাই করে সংসার চালাই। একটু মাথাগোঁজার ঠাঁই নেই।

তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরডাকাতিয়ায়। চিতলমারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তার পাশে কাঠ চেরাইকালে সাংবাদিকদের সাথে কথা হয় আপতার শেখের । এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, কপাল মন্দ বলেই আমার এ অবস্থা।

আফতার শেখ বলেন,নদীর পাড়ে খাস জায়গায় খুপরি ঘরে থাকি। ’৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। ৯ নং সেক্টরে মেজর জলিলের নেতৃত্বে ভারতে ট্রেনিং নিয়েছি। মেজর ওসমানের দেয়া যুদ্ধের সময়কার কাগজপত্র হারিয়ে ফেলায় অনেক দপ্তরে ঘুরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাইনি আজও। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে নকশাল বাহিনীর ভয়ে ১০ বছর যাবৎ চট্টগ্রামে গিয়ে আত্মগোপনে থেকেছি। পরবর্তীতে এলাকায় এসে অনেকের কাছে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। এখন কুড়ালই আমার একমাত্র সম্বল।

এ বিষয়ে চিতলমারী সদর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবুতালেব শেখ জানান, আপতার শেখ ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানি। তবে তার কাগজপত্র না থাকায় আজও স্বীকৃতি পাননি। এ ছাড়া তার সঙ্গে অনেকে প্রতারণা করেছে বলেও অভিমত দেন তিনি। 

এ বিষয়ে চিতলমারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা জানান, আপতার শেখ মুক্তিযোদ্ধা কিনা এ বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানাননি। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গাসহ ঘর দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।