কুয়াকাটা সৈকতে ডুব দিয়ে চেন্নাই ভেসে উঠা সেই ফিরোজ পুলিশের হেফাজতে

| আপডেট :  ৭ জুন ২০২২, ১০:২৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ জুন ২০২২, ১০:২৯ অপরাহ্ণ

কুয়াকা’টা ভ্রমণে এসে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নেমে নি’খোঁজ পর্যটক ফিরোজ শিকদার (২৭) এখন পুলিশের হেফাজতে। মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ফিরোজের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে একই দিন সকালে বেনাপোল বন্দর থেকে মহিপুরে এসে ফিরোজ তার বড় ভাই মাসুম শিকদারকে নিয়ে থানায় হাজির হন।

ভারত থেকে আসা ব্যক্তি হলেন, পটুয়াখালীর গ’লাচিপা উপজে’লার আমখোলা ইউনিয়নের মৃ’ত্যু মিলন শিকদারের ছেলে ফিরোজ শিকদার (২৭)। ফিরোজ শিকদার জানান, গত ২৭ মে দুপুরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে ঢেউয়ের তোড়ে প্রায় ২০ মিনিট গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকেন। এরপর একটি কলাগাছের নাগাল পান। এ সময় কলাগাছ ধরেই স্পিড-বোটের গতিতে সমুদ্রের আরও গভীরে যেতে থাকেন। এরমধ্যে রাত হয়ে গেলে এর কোনো এক সময় একটি মাছধরার ট্রলারের জে’লেরা তাকে তাদের ট্রলারে তুলে নেয়। তার ভাষ্যমতে ওই ট্রলারটি ছিল ভারতীয়।

তিনি আরও জানান, একদিন পর ওই ট্রলারের জে’লেরা ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তাকে তুলে দেন। ভারতের চেন্নাই শহরে তাদের হেফাজতে থাকার একদিন পর একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়াসহ বিমানযোগে কোলকাতা পৌঁছানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করেন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা। এরমধ্যে মোবাইল ফোন ক্রয়ের ক্যাশমেমো, বিমান ও ট্রেনের যাত্রী হিসেবে বেনাপোল সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে যেসব কাগজপত্র তার হাতে থাকার কথা এর কিছুই দেখাতে পারেননি ফিরোজ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ইন্সপেক্টর মো. ইলিয়াস বলেন, তাকে বর্ডার এলাকায় পাওয়ায় পর তার পরিবার জানায় তার নামে মহিপুর থানায় একটি নি’খোঁজ সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাই মহিপুর থানার ওসির সঙ্গে কথা বলি। পরে একটি লিখিত দিয়ে তাকে পরিবারের হেফাজতে মহিপুর থানায় পাঠাই।

মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ফিরোজ কুয়াকা’টা সৈকতে এসে এরপরে সাগরে ভেসে গিয়েছেন কি না সেটি স্পষ্ট না হলেও বেনাপোল সীমান্ত থেকে মহিপুরে এসেছেন এটি সত্য। এ বি’ষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।