অপেক্ষায় আছেন ববিতা, ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে ফিরবেন অভিনয়ে

| আপডেট :  ৭ জুন ২০২২, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ জুন ২০২২, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন: বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীর কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা ববিতা। যাদের একান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আজ একটি অবস্থানে পৌঁছেছে তাদের মধ্যে ববিতা অন্যতম। একসময়ের পর্দাকাঁপানো এই অভিনেত্রীর বহুদিন ধরে দেখা নেই সিনেমার পর্দায়। সম্প্রতি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, ভালো গল্প আর চরিত্রের অভাবেই চিত্রনায়িকা ববিতা অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি অভিনয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ববিতা বলেন, ‘ভালো গল্প ও মনের মতো চরিত্রের অপেক্ষায় আছি। পেলেই অভিনয়ে ফিরব। কয়েকজন নির্মাতার পাঠানো চিত্রনাট্য পড়েছি। কয়েকটি গল্প পছন্দও হয়েছে। সেগুলো বিবেচনায় রেখেছি। সবকিছু মনের মতো হলে যে কোনো সময় অভিনয়ে ফিরতে পারি।’

এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘গলুই’ ও সিয়াম আহমেদের ‘শান’ ছবি দুটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ববিতা বলেন, ‘ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো ভালো সাড়া পেয়েছে জেনে ভালো লেগেছে। আসলে ভালো গল্পের ছবি পেলে দর্শক যে প্রেক্ষাগৃহে আসে, এটি তারই প্রমাণ। চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরাতে মানসম্মত ছবির বিকল্প নেই।’

বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থার পেছনে কারা দায়ী, এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা বলেন, আসলে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে সিনেমার ব্যবসাটা চলে গেছে। আমাদের শিল্পীরা ভালো অভিনয় করছেন; সব ঠিক আছে কিন্তু ভালো গল্প তো নেই। আজকাল যেন মনে হয় ‘সে’ক্স’ ও ‘ভায়ো লেন্সের’ দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। একি হচ্ছে! আমাদের সময়ে শাবানা আপা, কবরী আপা, সুচন্দা আপাদের কি সিনেমা চলেনি? আমরাও আধুনিক পোশাক পরেছি, কিন্তু শালীনতা বজায় ছিল। খোলামেলা পোশাক দেখে মা-খালারা বলেন, সিনেমা হলে বাচ্চাদের নিয়ে যাব না; এমন কথাও শুনেছি।

ববিতার এমন বক্তব্যের বিপরীতে সংশ্লিষ্টদের দাবি, যুগের সঙ্গে তাল মেলাতেই এমন উপস্থাপনা। এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ববিতা বলেন, হলিউড-বলিউডের পোশাকের সঙ্গে যদি আমি নিজেকে মেলাই তাহলে তো হবে না। তাই না? আমার আগে দেখতে হবে, আমি কোন দেশের মানুষ, আমাদের ধর্ম আর সংস্কৃতি কেমন।

বলিউড সিনেমার উদাহরণ দিয়ে ববিতা বলেন, যেমন ভারতের ছবির পোশাকের ব্যাপারেই বলি, ওই সব পোশাক কিন্তু আমাদের জন্য নয়। তাই যুগের সঙ্গে এমন তাল মেলানোর কোনো অর্থ হয় না, যা করতে গিয়ে অধিকাংশ দর্শক পরিবার নিয়ে ওই ধরনের ছবি দেখতে সিনেমা হলে যেতে বিব্রতবোধ করে। তাই নিজ দেশের কৃষ্টি-কালচারের দিকে নজর দিয়ে ছবি নির্মাণ করলেই সেই ছবি দেখতে সপরিবারে দর্শক সিনেমা হলে যাবে।