সব
এবার ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি সিরিজ পার করেছেন জাতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৩০৩ রান করে তিনি সিরিজের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। যে কারণে আইসিসি পুরুষদের মে মাসের ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হওয়ার লড়াইয়ে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকায় রয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
এদিকে বাংলাদেশের জার্সিতে দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে আছেন শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাটে-বলে দারুণ খেলা দুই লঙ্কান ক্রিকেটাররা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও আসিথা ফার্নান্দো। চট্টগ্রামে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার টেস্ট রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ওই ম্যাচে তার ১০৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৮ রানের লিড নেয়।
তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এসেছিল বিপদের মুহূর্তে। বাংলাদেশ ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নামেন এবং দ্রুত স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ২৫/৫। সংশয় জাগে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর পঞ্চাশ পার হওয়া নিয়েও। কিন্তু মুশফিক লিটন দাসকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি গড়েন।
এদিকে দুর্ভাগ্যবশত মুশফিককে থামতে হয় অপরাজিত ১৭৫ রানে, কারণ দলের সব ব্যাটসম্যানই আউট। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিতে আট ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যান র্যাংকিংয়ে ১৭ নম্বরে তিনি। এদিকে আসিথা এই সিরিজ শেষ করেছেন শীর্ষ উইকেটশিকারি হয়ে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার করা একমাত্র বোলিং ইনিংসে তিন উইকেট নেন। ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে পান ১০ উইকেট।
বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কান পেসারের টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটা। শেষ ইনিংসে ৫১ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট। হন ম্যাচসেরা। দুই টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৩৪৪ রান করে সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন ম্যাথুজ। প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে ছিলেন, কিন্তু ১ রানের জন্য পারেননি। ১৯৯ রানে আউট হন। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা ৩৯৭ রান করলেও বাংলাদেশ লিড নেয়। ম্যাচটি ড্রতে শেষ হয়।