ই’নজেক’শন নিতে এসে না’র্সের শ’রীরের ‘স্প’র্শকাতর স্থানে’ হা’ত দিলো জাবি ছাত্র!

| আপডেট :  ৫ জুন ২০২২, ০৯:২৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ জুন ২০২২, ০৪:৩২ অপরাহ্ণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে টিকা নিতে এসে দায়িত্বরত না’র্সকে যৌ’ন হ’য়রানির অ’ভিযোগ উঠেছে এক ছা’ত্রের বি’রুদ্ধে। শনিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চি’কিৎসাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে অ’ভিযুক্ত শিক্ষার্থী ‘মা’নসিক ভা’রসাম্যহীন’ বলে জানিয়েছেন তার বিভাগের শিক্ষক ও শি’ক্ষার্থীরা।

অ’ভিযুক্ত ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রা’ণরসায়ন ও অনুপ্রা’ণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একটি আবাসিক হলের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অ’ভিযোগ দিয়েছেন ভু’ক্তভোগী না’র্স। এদিকে এ ঘটনায় বি’চার দাবি করে বিক্ষু’ব্ধ হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। তারা প্রায় তিন ঘণ্টা চি’কিৎসাকেন্দ্র তালাবদ্ধ করে রাখেন। তারা ওই শি’ক্ষার্থীর ব’হিষ্কার দাবি করেন।

অ’ভিযোগপত্রে ভু’ক্তভোগী না’র্স লিখেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে প্রা’ণরসায়ন ও অনুপ্রা’ণ বিজ্ঞান বিভাগের ওই শি’ক্ষার্থী ই’নজেকশন দেয়ার সময় আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হা’ত দেয়। প্রথমে এটি অসাবধানতাবশত হয়েছে বলে মনে করি। কিন্তু এরপর সে আমার কক্ষে এসে আমার শ’রীরে হাত দেয়। এসময় আমি চি’ৎকার করলে আমার সহকর্মীরা ডিউটি রুমে এসে উপস্থিত হয়। তখন ওই ছা’ত্র সরে যায়।

এ ঘটনায় তিনি মা’নসিকভাবে বি’পর্যস্ত বলে অ’ভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ওই না’র্স। বলেন, ‘আমার ও’পর সংঘটিত এ যৌ’ন হ’য়রা’নির সুষ্ঠু বি’চার কামনা করছি।’এদিকে অ’ভিযুক্ত শি’ক্ষার্থী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ই’নজেকশন নেয়ার সময় নার্সের গায়ে হাত দেই। আমার বি’রুদ্ধে আনিত অ’ভিযোগটি সত্য।’

অ’ভিযুক্তের বন্ধু ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সে মা’নসিকভাবে অ’সুস্থ। তার ভাগ্নে সবুজ আহমেদ জানান, ‘মামার সাথে পরিবারের সম্পর্ক ভালো না। তাকে ফোনে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলতো। সে ঈদেও বাড়িতে আসেনি।’ ওই শিক্ষার্থীর রুমমেট জানান, ‘সে সারাদিন চুপচা’প থাকে। কোনো কথা বলে না। কোনো দরকার হলে বাইরে যায় আবার চলে আসে। তার আচার-আচরণ সব সময় অ’স্বাভাবিক। তার ব্যাপারে হলের সবাই জানতো।’

এ ব্যাপারে প্রা’ণ রসায়ন ও অণুপ্রা’ণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুল মোর্শেদ বলেন, ‘ছেলেটি মা’নসিকভাবে অ’সুস্থ সেটা আমরা জানি। আমরা তার পরিবারকে বি’ষয়টি জানিয়েছি। পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাসে এসেছে। তাদের সাথে আমরা বাড়িতে পাঠিয়ে দেব এবং চি’কিৎসার ব্যবস্থা করব।’

এ বি’ষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘এ ঘটনার লিখিত অ’ভিযোগ পেয়েছি। অ’ভিযোগটা দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌ’ন নি’পীড়ন সেলে পাঠানো হবে। সেল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবি’ষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’বিশ্ববিদ্যালয় চি’কিৎসাকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা শামছুর রহমান বলেন, আমরা চি’কিৎসাকেন্দ্র থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অ’ভিযোগ দিয়েছি। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে, এ ঘটনার নি’ন্দা জানিয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চি’কিৎসাকেন্দ্রে তালা ঝু’লিয়ে অ’বরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন ও সমিতির সদস্যরা। ফলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা চি’কিৎসাকেন্দ্রের সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আশ্বাসে ও রো’গীদের সেবা নেয়ার কথা বিবেচনা করে তালা খুলে দেয় তারা।

এ বি’ষয়ে কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী সেবা দানরত অবস্থায় এক শিক্ষার্থীর দ্বারা নি’পীড়নের শি’কার হয়। আমরা এর তী’ব্র নি’ন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত’দন্ত সাপেক্ষে অ’ভিযুক্তের শা’স্তি দাবি করছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আমরা আ’ন্দোলনে যাব।’