প্রথম লাইভ করা নিহত নয়নের বাড়িতে চলছে মাতম

| আপডেট :  ৫ জুন ২০২২, ০১:২১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ জুন ২০২২, ০১:১৮ অপরাহ্ণ

সারাদেশ ডেস্কঃ সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সেখানে কর্মরত শ্রমিক অলিউর রহমান নয়ন যিনি প্রথম ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন গতকাল রাতে লাইভের কিছু সময় পর তিনি নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে তিনি মারা গেছেন আনুমানিক ২ টার দিকে।। অয়ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা
তার বয়স আনুমানিক ২৩।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে থেকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন ওই তরুণ। হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশের সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায়। তারপর থেকেই দীর্ঘসময় নিখোঁজ হন তিনি। এক পর্যায়ে তিনি মারা যান। রাত আনুমানিক ২টার সময় নিহত অলিউর রহমানের লাশ আসে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে। 

নয়নের গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামে। তার বাবা আশিক মিয়া। পরিবারের ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে বড়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রায় ৪ মাস পূর্বে একই গ্রামের বাসিন্দা মামুন মিয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেন।মামুনও ওই জায়গায় কাজ করতো।  

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটে। এ সময় লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিল অলিউর। হঠাৎ অনেক শব্দে বিস্ফোরণ হলে হাতের মোবাইল ছিটকে যায় অলিউরের। তারপর চারদিকের আহাজারি, চিৎকার শোনা গেলেও অলিউর রহমান কোথায় কি অবস্থায় আছে তা জানা যায়নি।

এদিকে আজ সকালে পরিবারের কাছে খবর আছে অলিউর মারা গেছে। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভাগ্য বদলে ৪ মাস পূর্বে চট্টগ্রামে যাওয়া বড় ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়েছেন বাবা আশিক আলী। 

অলিউর রহমানের চাচা সুন্দর আলী সাংবাদিকদের জানান, আমাদেরকে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে যাবার জন্য বলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে অলিউরের লাশ আনতে রওনা দিয়েছি।স্থানীয় কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি নিহতের সম্পর্কে চাচাতো ভাই জুনাব আলীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হন।