পদ্মাসেতু টিকবে ১০০ বছরের বেশি

| আপডেট :  ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি শেষ হয়েছে ইতিহাস তৈরিকারী পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ। নির্মানের সময় এই সেতুর কার্যকাল ধরা হয়েছিলো ১০০ বছর। তবে এই সেতু নির্মাণে বিশ্বমানের সব উপাদান ব্যবহার করায় আশা করা হচ্ছে এটি ১০০ বছরেরও বেশি সময় টিকে থাকবে।

জানা গেছে,  পদ্মাসেতুতে ব্যবহারের আগে প্রতিটি উপাদানের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরামর্শক প্যানেলের অনুমোদন ছাড়া প্রকল্পের কাজে কোন উপাদান ব্যবহার করতে পারছে না

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর কাজে যে উপাদানগুলো ব্যবহার হচ্ছে সেগুলোকে উপযোগী করে তুলতে কাজ করা হয় মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে। সেতুতে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর মধ্যে পিলার তৈরিতে যে স্টিলের টুকরো ব্যবহার হয়েছে তার সবগুলোই এসেছে চীন থেকে। তবে স্টিল চীন থেকে আসলেও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান জোড়া দেয়ার কাজ দেশে হয়েছে। এছাড়া সংযোগ সড়ক থেকে শুরু করে সেতুর নির্মাণকাজে যে পাথর ব্যবহার হয়েছে তা আনা হয়েছে ভিয়েতনাম, দুবাই, ভারত ও ওমান থেকে। তবে এক্ষেত্রে দেশের মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি থেকে বাছাই করা পাথরের একটি অংশও ব্যবহার হয়েছে।

তবে বিদেশি উপাদানের পাশাপাশি সেতুর বড় একটি অংশ জুড়ে ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশের উপাদানও। প্রকল্পের পিলার, ভায়াডাক্ট, সংযোগ সড়কসহ প্রতিটি কাজে যত রড ব্যবহার হচ্ছে, তার শতভাগই দেশীয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে অল্প পরিমানে মিহি সিমেন্ট আনা হলেও বেশিরভাগ সিমেন্টই ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশি কোম্পানির। এছাড়া স্প্যানের উপর ও নিচের অংশে বসাতে নির্মাণাধীন রোড স্ল্যাবের সিমেন্ট ও রড ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশের। তবে রেলওয়ে স্ট্রিনজারগুলো আনা হচ্ছে লুক্সেমবার্গ থেকে।

পদ্মা সেতুর বিষয়ে সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, সেতু পাইল ১২০ মিটার থেকে ১২৮ মিটার মাটির গভীরে গেছে। যা বিশ্ব রেকর্ড। আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড হলো প্রতিটি স্প্যান ৩২-৩৩ টন ওজনের। যেগুলো সেতুর পিলারের উপর বসানো হয়।