প্রেমিকের খোঁজে কক্সবাজার গিয়ে রাতভর অটোচালকের ধ’র্ষণের শি’কার কি’শোরী, বাসায় ফিরে আত্মহ’ত্যা

| আপডেট :  ৩ জুন ২০২২, ১১:০৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ জুন ২০২২, ০৮:৩৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ধ”ণের অ’পমান সইতে না পেরে স্কুলশিক্ষার্থীর আত্মহ’’ত্যার অ’ভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩ জুন) সকালে বায়েজিদের বোস্তামি থানার টেক্সটাইল এলাকায় নিজ বাসা থেকে সানিহা আফরিন মুমু (১৬) নামে ওই শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়।

মুমুর খালাতো বোন সালমা জানান, গত মঙ্গলবার (৩১ মে) ভোরে এক বান্ধবীকে নিয়ে জিসান নামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কক্সবাজারে যায় মুমু। তবে সেখানে এক অটোরিকশা চালক তাকে ফুঁসলিয়ে একটি হোটেলে রেখে রাতভর ধ”ণ করে। এরপর বুধবার (১ জুন) রাতে বাসায় ফিরে মুমু। এর একদিন পর নিজ বাসায় কি’শোরীর ম’রদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝু’লন্ত অবস্থায় উ’দ্ধার করা হয়।

স্বজনদের অ’ভিযোগ ধ”ণের অ’পমান সইতে না পেরে আত্মহ’’ত্যা করেন দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মুমুর সঙ্গে কক্সবাজার যাওয়ার বান্ধবীকে জি’জ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বান্ধবী জানায় মঙ্গলবার (৩১ মে) ভোরে কলাতলি মোড়ে এসে পৌঁছায় তারা। জিসানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাকে খুঁজে না পেয়ে অভিমান করে ওই কি’শোরী। পরে তাকে রেখে এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে মুমু চলে যায়। সঙ্গে মুঠোফোন না থাকায় এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ওই বান্ধবী ফিরে বি’ষয়টি মুমু পরিবারকে জানালে তারাও কি’শোরীর খোঁজ করতে থাকেন। পরে তারা বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি অ’পহরণের অ’ভিযোগ করেন। কিন্তু এরমধ্যে বুধবার (১ জুন) রাতে মুমু বাসায় ফিরে আসে।

স্বজনদের দাবি, বাসায় ফিরে প্রথম’দিন কাউকে কিছু জানায়নি মুমু। পরের দিন মুমু তার বোনের কাছে স্বীকার করে অটোরিকশা চালক তাকে একটি হোটেলে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধ”ণ করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শা’স্তির দাবি করেন মুমুর স্বজনরা।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্ম’দ কামরুজ্জামান বলেন, সকালে স্কুল শিক্ষার্থীর ম’রদেহ ঝু’লন্ত অবস্থায় উ’দ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে আত্মহ’’ত্যা মনে হচ্ছে। ধ”ণের অ’ভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ম’রদেহ ময়নাত’দন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাত’দন্তে পুরো বি’ষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে। আত্মহ’’ত্যায় কারো প্ররোচনা থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি। মুমু চট্টগ্রাম শেরশাহ ডাক্তার মাজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।