৯০ মিনিটে মাঠে নামা দিবালার যাদু দেখলো সারা বিশ্ব

| আপডেট :  ২ জুন ২০২২, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জুন ২০২২, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা জিতে নিল আর্জেন্টিনা। আর আলবেসিলেস্তাদের হয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পেলেন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে উয়েফা ইউরো কাপ জয়ী ইতালিকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় কোপা আমেরিকা জয়ী লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই শিরোপার স্বাদ পেল তারা। এর আগে ১৯৯৩ সালে ডেনমার্ককে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এই ট্রফি জিতে আর্জেন্টিনা।লাওতারো মার্টিনেজ ও অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার গোলে প্রথমার্ধেই আর্জেন্টিনা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। বিরতির পর শেষ মুহূর্তে পাওলো দিবালা গোল করে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।

যদিও পুরো ম্যাচ জুড়ে লিওনেল মেসি ও তার সতীর্থরা দুর্দান্ত খেলে আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু সেগুলো থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেননি।এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই হাই প্রেসিং ফুটবল খেলতে শুরু করে উভয় দল। অবশ্য বল দখল ও আক্রমণের দিক দিয়ে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। সেটার সুফলও তারা পেয়ে যায় ২৮ মিনিটে।

এ সময় বামদিক দিয়ে ইতালির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে মেসি বল বাড়িয়ে দেন লাওতারো মার্টিনেজকে। লাওতারো খুব কাছ থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান।এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+১) ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। এ সময় পেছন থেকে লাওতারো তাকে বল বাড়িয়ে দেন। লিওনার্দো বোনুচ্চিকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে সেটার নিয়ন্ত্রণ নেন ডি মারিয়া।

এরপর ইতালির গোলরক্ষক ইমিলিয়ানো মার্টিনেজের মাথার ওপর দিয়ে ট্যাব করে বল জালে জড়ান। তাতে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।বিরতি থেকে ফিরেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ডি মারিয়া। কিন্তু তার নেওয়া শট ধরে ফেলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। এরপর লিওনেল মেসি একক প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানান। কিন্তু জালের নাগাল পাননি।

শেষ মুহূর্তে (৯০+৪) আক্রমণে উঠেন মেসি। বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। তাকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেন ইতালির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা।বল তার কাছ থেকে ইতালির খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে যায় ৯০ মিনিটে মাঠে নামা দিবালার কাছে। দিবালা বল পেয়েই দূরের পোস্টে শট নেন। বল জালে জড়ায়।তাতে ৩-০ গোলে ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়ে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।