সব
মা’নবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং আসন্ন জাতীয় সং’সদ নির্বাচন নিয়ে মা’র্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ইউরোপ সফরে থাকা মন্ত্রী মোমেনকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র ম’ন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা জানান, মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা কি মা’র্কিন রাষ্ট্রদূতকে
প্রশ্নগুলো করবেন, কেন তাঁরা তাঁদের দেশে বিচারবহির্ভূত হ’’ত্যা বন্ধ করতে পারে না? পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে মানবজমিনকে পাঠানো জনসংযোগ কর্মকর্তার সার্কুলেট করা বার্তামতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ মা’র্কিন নাগরিক নি’খোঁজ হয়, এমনকি মা’র্কিন শি’শুদের তাদের হিস্পানিক বা স্পেইনদেশীয় পিতামাতাদের সঙ্গে মিলিত হতে দেওয়া হয় না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমত যুক্তরাষ্ট্র যদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, তবে কেন রাশিয়ার আরটি টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে? দ্বিতীয়ত, তারা যদি জবাবদিহি চায়, তাহলে কেন প্রতিবছর হাজারো মা’র্কিন নাগরিক হ’’ত্যার জন্য নিজেদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো বা পুলিশের জবাবদিহি ও শা’স্তি নিশ্চিত করা হয় না? হ’’ত্যা হওয়া বেশির ভাগ কালো ও হিস্পানিক নাগরিক। আপনারা কেন মা’র্কিন রাষ্ট্রদূতকে এ প্রশ্নগুলো করেন না?
মা’র্কিন নির্বাচন নিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ হয়, তবে কেন তরুণ মা’র্কিনিদের দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ও’পর আস্থা নেই? তরুণ মা’র্কিনরা ঠিকমতো ভোটই দেয় না। কেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি নির্বাচনে গড়ে মাত্র ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে? যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়া কি অংশগ্রহণমূলক? সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ইস্যুগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশকে নিয়ে নয়। আমাদের এই দেশকে শাসন বা সাহায্য, উন্নতি করতে যুক্তরাষ্ট্র বা’ধ্য নয়।’
স্মরণ করা যায়, মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত মা’র্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সেখানে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, মা’নবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন তিনি।