সব
এবার নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বেফাঁ’স মন্তব্য করে ভাইরাল হলেন বাঁশখালী উপজে’লার পুইঁছড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাকের হোসেন বাচ্চু। এ প্রার্থীর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি জনসম্মুখে বলছেন, আপনার সন্দুরভাবে ভোট দিতে পারবেন।
যত বড় গুণ্ডা হোক, পয়সাওয়ালা হোক এখানে একবিন্দু বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। আমি স’রকারি দলের লোক আমার তো স’রকারি গুণ্ডা আছে। আছে না? লাইসেন্স ধারী। এরা (পুলিশ) কি ওদের (প্রতিপক্ষ) কাজ করবে? না আমি নির্দেশ দিলে আমার কাজ করবে?
প্রায় ৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আরও বলতে শুনা যায়, এত হু’মকি ধামকি আপনারা ভ’য় করবেন না। আপানার ভালো ভাবেই জানেন। এই প্রেম বাজারে এক সময় ডাকাতের অভ’য়ারণ্য ছিল। তারা রাতে ডাকাতি করতো আর দিনে জু’য়া খেলতো। কিন্তু এরা আওয়ামী লীগ নাম ধারী ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বাঁশখালী উপজে’লার পুইঁছড়ি ইউনিয়নের প্রেমবাজার এলাকার। তিনি গত রোববার (২৯ মে) একটি গণসংযোগে গিয়ে এ মন্তব্য করেন। ভিডিও এর বি’ষয়ে জানতে জাকের হোসেন বাচ্চুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তবে ওই দিন আওয়ামী লীগের মনোনিত এ প্রার্থী বক্তব্য দেওয়ার সময় পাশের চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় দক্ষিণ জে’লা আওয়ামী লীগের শ্রম বি’ষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলমকে।এ বি’ষয়ে খোরশেদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বাংলানিউজকে বলেন, একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি আমাদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাঁর এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষ’তি হয়েছে।
এদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। হোসাইন মোহাম্ম’দ নামে দক্ষিণ জে’লা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিডিওটি শেয়ার করে তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, আসন্ন বাঁশখালী ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার মাঝিদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা পাবলিক প্লেসে এমন কোনো বক্তব্য দিবেন না, যে বক্তব্যের কারণে স’রকারের ভাবমূর্তি ন’ষ্ট হয়! নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, আর আপনারা যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে বাঁশখালীতে নির্বাচন করছেন, আপনারা প্রত্যেকেই দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতিনিধিত্ব করছেন, কাজেই মনগড়া বক্তব্য পরিহার করুন। আপনাদের প্রত্যকের জেনে রাখা উচিত সারাজীবন আ.লীগের রাজনীতি করেও নৌকা নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ সবাই পায় না। আপনারা পেয়েছেন, এটা আপনাদের জন্মের সার্থকতা। পুলিশ স’রকারি গুণ্ডা নয়, পুলিশ জনগণের সেবক।
এর আগে ওই উপজে’লার চাম্বল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী প্রচারণায় গিয়ে, ইভিএম না থাকলে রাতেই ভোট নিয়ে নেওয়া এবং ভোট কেন্দ্রে নিজের মানুষ রাখার সম্পর্কিত বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।