জুতা কিনতে গিয়ে দামদর নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত

| আপডেট :  ৩০ মে ২০২২, ১১:৪৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ মে ২০২২, ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

কি’শোরগঞ্জ জে’লা প্রতিনিধি: কি’শোরগঞ্জ জে’লার কুলিয়ারচর পৌরশহরের তাঁতাঁরকান্দি এলাকার মনির হোসেনের দোকানে শনিবার সন্ধ্যায় জুতা কিনতে যান রবিন নামে এক যুবক। দোকানি দাম হাকেন ৭০০ টাকা। ৪০০ টাকাা বলেন রবিন। রবিনের বাড়ি পৌর শহরের পূর্ব গাইলকা’টা মহল্লায়। এক পর্যায়ে দাম’দর নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কা’টাকাটি হয়। এই খবর পৌঁছে যায় উভ’য় বাড়ির লোকজনের কাছে। পরে পূর্ব গাইলকা’টা ও তাঁতাঁরকান্দি এলাকার লোকজন দা, বল্লম ও লা’ঠি নিয়ে একে অপরের বিপক্ষে সং’ঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

তিন দিন ধরে থেমে থেমে চলা সং’ঘর্ষে আজ সোমবার বিকালে এক ব্যক্তি মা’রা যান। নি’হত ব্যক্তির নাম সুজন মিয়া (৫০)। তিনি পূর্ব গাইলকা’টা মহল্লার মৃ’ত ইশাদ মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারটি বাস, ১ টি ইছার মাথা (বালুর গাড়ি), ১৫টি দোকান ও কয়েকটি বাড়িঘর ভাং’চুর হয়। আ’হত হয় উভ’য় পক্ষের অন্তত ১২ জন। পুলিশ এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আ’টক করে।

স্থানীয়রা জানায়, রবিন বয়সে কি’শোর। মনির বয়সে যুবক। ৭০০ টাকার জুতা ৪০০ বলায় মনির ও রবিনের মধ্যে কথা কা’টাকাটি হয়ে মা’রামারি হয়। রাত ৮ টার দিকে উভ’য় পক্ষের কয়েকশত মানুষ সং’ঘর্ষে অংশ নেয়। বাজার এলাকায় ধা’ওয়া-পাল্টা ধা’ওয়ার সময় কয়েকটি দোকান ভা’ঙচুর হয়। রোববার সন্ধ্যায় এলাকায় দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ হয় বাজার কমিটির।

সালিশে সভাপতিত্ব করেন কুলিয়ারচর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুফতি ইলিয়াস মাহমুদ কাসেমী রাসেল। সালিশের শেষ পর্যায়ে ফের দুই পক্ষের মধ্যে কথা কা’টাকাটির সূত্র ধরে উ’ত্তেজনা ছড়ায়। পরে সালিশ শেষ হবার আগেই দুই পক্ষ আবার সং’ঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রোববার সন্ধ্যার পরের সং’ঘর্ষ রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে। পরে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই দিনও কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভা’ঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আজ সোমবার (৩০ মে, ২০২২ খ্রিঃ) সকাল এগারোটার পর থেকে ফের সং’ঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সং’ঘর্ষ চলাকালে সুজন পাথর দ্বারা আ’ঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে তিনি মাটিতে লু’টিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেবার আগেই সুজনের মৃ’ত্যু হয়।

কুলিয়ারচর থানা অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) মোহাম্ম’দ গোলাম মস্তুোফা বলেন, এক জুতা নিয়ে সং’ঘর্ষ চলে তিনদিন। আবার একজনের প্রা’ণও গেল। ক্ষয়-ক্ষ’তিও কম নয়। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংহিতা ঠে’কাতে পুলিশ রাখা আছে।