দেড় লাখ টাকা চুক্তিতে প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন কলেজশিক্ষক

| আপডেট :  ২৯ মে ২০২২, ০৬:৪৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ মে ২০২২, ০৬:৪৬ অপরাহ্ণ

রাজবাড়ীতে স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেড় লাখ টাকা চুক্তিতে ফাঁ’স করেন কলেজশিক্ষক মুহাম্ম’দ মতিয়ার রহমান ওরফে হিমেল। তিনি রাজবাড়ীর সিনিয়র জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট সুমন হোসেনের আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় করা মা’মলায় কলেজশিক্ষকসহ মোট ১৫ জনকে গ্রে’প্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে মোট ৫ জন ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দিয়েছেন।ডা. আবুল হোসেন কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত মতিয়ার রহমান। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজে’লার রায়পুর গ্রামে।

গো’য়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয় ২০ মে। পরীক্ষায় জালিয়াতির অ’ভিযোগে ওই দিন ১৩ জনকে গ্রে’প্তার করা হয়। এ ঘটনায় গো’য়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর মাতুব্বর বা’দী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মা’মলা করেন।

পুলিশের দাবি, গ্রে’প্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২০টি মুঠোফোন, ২টি সিমসহ ডিভাইস, ২টি ইয়ারফোন, আড়ি পাতা ডিভাইসের ছয়টি ছোট ব্যাটারি, পুরোনো ১টি মডেম, ১০ হাজার টাকা, হাতে লেখা পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর, পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন গাইড বই, সোনালী ব্যাংকের একটি ভিসা ডেভিড কার্ড, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের একটি ডেভিড কার্ড ও দুটি স্যামসাং পাওয়ার ব্যাংক উ’দ্ধার করা হয়েছে।

মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী গো’য়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রা’ণবন্ধু চন্দ্র দাস বলেন, ডিভাইসের মাধ্যমে স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁ’সের ঘটনায় ১৩ জনকে ওই দিনই আ’টক করা হয়। তাঁদের মধ্যে এক দম্পতি ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দেন। অপর ১১ জনের ৭ দিন করে রি’মান্ডের আবেদন করা হয়।

আ’দালত ১ দিন করে রি’মান্ড মঞ্জুর করেন। রি’মান্ডে জি’জ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজে’লার রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) প্রশিক্ষক মাঈনুল ইসলাম হাওলাদার কলেজশিক্ষক মতিয়ার রহমানের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কিনেছেন বলে জানান। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আ’টক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অফিস সহকারী জাভেদকে আ’টক করা হয়। সব মিলিয়ে এই মা’মলায় গ্রে’প্তার হন ১৫ জন।

জে’লা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীতে মোট সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আটটি কেন্দ্রে স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬ হাজার ২০১ জন। তাঁদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪ হাজার ৩৫৫ জন। সুত্রঃ প্রথম আলো