বউভাতে দেখা গেল কনে আসলে মেয়ে না, জলজ্যান্ত যুবক!

| আপডেট :  ২৯ মে ২০২২, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ মে ২০২২, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার যুবক অলক কুমার মিস্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অলকের সাথে পরিচয় হয় উড়িষ্যার কেন্দ্রপাড়া মেঘনা ওরফে মেঘনাদ মন্ডল এর সাথে।

ফেসবুকে মেঘনাদ মন্ডল নিজেকে মেঘনা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। অলকের সাথে পরিচয় হবার কিছুদিনের মধ্যেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের জাজপুর জেলার বাসুদেবপুর কাসিয়ায় অলোকের মামার বাড়ি। অলোকের পরিবার ঠিক করে সেখান থেকেই ছেলের বিয়ে দেবে। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যায়। গত ২৪ মে (মঙ্গলবার) পরিবারকে নিয়ে বিয়ে করতে মামার বাড়ি যায় অলোক। সেখানে মেঘনার পরিবারের সদস্যরাও আসে। দুই পক্ষের উপস্থিতিতেই মেঘনা-অলোকের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের দিন সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে আশপাশের মানুষ এবং অতিথিরা আসেন। সবাই যখন আশীর্বাদ করছিলেন নবদম্পতিকে, তাদের মধ্যে হঠাৎ এক নারী মেঘনাকে দেখে চিনতে পেরে সাথে সাথে বলে ওঠেন, ‘আরে মেঘনাদ না!’

নববধূকে পুরুষের নামে ডাকায় উপস্থিত সকলে চমকে ওঠে। এর পর ওই নারী বলেন, ‘ও তো আমার ভাইপো মেঘনাদ, ও বউ হল কীভাবে?”

ওই নারীর এমন কথায় বরের স্বজনেরা যাচাই করে দেখে মেঘনা আসলে এক জন পুরুষ। তার নাম মেঘনাদই। মেয়েদের মতো লম্বা চুল রেখে নিজেকে মেঘনা ‘সাজিয়ে’ তুলেছিল সে।

উপস্থিত জনতা বিষয়টি জানতে পেরে মেঘনার পোশাক টেনে খুলে ফেলে এবং তার মাথার লম্বা চুল কেটে দেয়। পরে সেখানে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মেঘনাদকে উদ্ধার করে।