ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই, আমরা সন্তুষ্ট: জাফর ইকবাল

| আপডেট :  ২৫ মে ২০২২, ০৪:৫৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ মে ২০২২, ০৪:৫৩ অপরাহ্ণ

ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। এটি বেশ সহজ প্রযুক্তি এবং আমরা সন্তুষ্ট। এমনটি বলেছেন বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে জানতে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে বুধবার (২৫ মে) নির্বাচন কমিশন ভবনে যান লেখক ও প্রযুক্তিবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ডামি ভোট দিয়ে এর নানা দিক নিয়ে জানতে চান তারা। এরপর সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল ইভিএমের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছে আমি তাদের বলবো, আপনারা চাইলে আবার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারে। তখনও ইভিএমে নির্বাচন করতে পারে। আপনারা লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো মেশিনের পক্ষেই শতভাগ নিখুঁত হওয়া সম্ভব না। তবে আমরা বলতে পারি, ইভিএম কতটুকু উৎকর্ষতা সাধন করতে পেরেছে এবং এই মেশিনে কোনো সমস্যা হলে তা সমাধানের উপায় আছে কিনা। আমাকে যদি কেউ বলে শতভাগ নিখুঁত যন্ত্র তৈরি করে দাও, আমি সেই প্রজেক্ট হাতে নেবো না। আমাকে যদি বলা হয়, একটি যন্ত্র বানিয়ে দাও যাতে সমস্যা হলে তা সমাধানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে; তাহলে আমি রাজি হবো। ইভিএমে তেমনটাই আছে। এখানে বিভিন্ন স্তরে ডাটা রক্ষা করার উপায় আছে।

ইভিএমে ভোট গণনার ফলাফলকে নিজেদের পক্ষে নেয়া সম্ভব; বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, যারা এমন অভিযোগ এনেছেন আমি তাদের অনুরোধ করবো আপনারা লিখিত আকারে এই অভিযোগটি দিন যে, কীভাবে তা করা সম্ভব এবং আমাদেরকে সেটা করে দেখান।

ইভিএমে ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করার জায়গা নেই উল্লেখ করে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ফলাফল প্রভাবিত করতে যে স্তরে যেতে হবে তা অনেকটাই অসম্ভব। এই মেশিন অপারেটের শুরুতে দেখা নেয়া সম্ভব যে, ভেতরে কী আছে। নির্বাচনে বিভিন্ন দলের পোলিং এজেন্টরা থাকবেন। তাদের পক্ষেও পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব।

বিশেষ কোডিংয়ের মাধ্যমে এক মার্কার ভোট আরেক মার্কায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ইভিএমে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল আরও বলেন, আমি সার্কিটগুলোও দেখেছি। এখানে ফল প্রভাবিত করা ভার্চুয়ালি অসম্ভব।

ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, কোনো মেশিনকেই শতভাগ বিশ্বাস করা যাবে না। তবে এখানে মেশিনের জায়গায় আর কোনো কাজ বাকি নেই। ফলাফল প্রভাবিত করারও সুযোগ নেই। প্রতিটি জায়গা এমনভাবে কাস্টমাইজ করা হয়েছে যে, কেউ চাইলেই তা পরিবর্তন করতে পারবেন না। এই প্রকল্পের সাথে যারা ৪-৫ বছর ধরে কাজ করেছেন তাদের আত্মবিশ্বাসে আমি নিশ্চিত হয়েছি, খুবই ভালো মেশিন তৈরি করা হয়েছে। আমি আশা করবো নির্বাচন কমিশন এমন ব্যবস্থা করবে, যেকোনো নাগরিক এসে যেন মেশিনটি পরীক্ষা করে দেখতে পারে সবকিছু ঠিকভাবে আছে কিনা।