সব
বিনোদন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। নিপুন এবং জায়েদ এখনো আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে মুখ খুললেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আগে যারা সমিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। যে অভিযোগগুলো শিল্পীরা করেছেন, এটি কী শিল্পী সমিতির কাজ? কারো সমস্যা থাকলে তারা সমিতিতে এসে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা বলবে। তার সমস্যা তাকেই এসে বলতে হবে। আমরা কী ৫শ শিল্পীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেব নাকি। এটা সম্ভব না। এ রকম সিস্টেমও নেই।
তিনি আরও বলেন, শিল্পী সমিতি কেন উপহার দেবে? আমি নতুন নই, এর আগেও সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। সে সময় তো আমি এ ধরনের নিয়ম দেখিনি। এগুলো তারা করেছে (জায়েদ-মিশা) শুধুই ভোটের কারণে। শিল্পী সমিতি শিল্পীদের সম্মানের জায়গা। সেই জায়গাটি নষ্ট করে ফেলেছে। এ ধরনের অনিয়ম, সম্মানহানিকর বিষয় অন্তত আমি করতে দেব না।
শিল্পী সমিতির কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা তিনটি মিটিং করেছি। তবে জায়েদ খান ছলনার আশ্রয় নেয়ার কারণে একটি মিটিং বৈধ নয়। কিন্তু নিপুণকে সঙ্গে নিয়ে করা বাকি দুটি মিটিং বৈধ। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনকে সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করছি। সবাই আমাদের সঙ্গে আছে। যা পূর্বে ছিল না। উভয়ই একে অন্যের সমিতি এড়িয়ে চলত। কিন্তু সেসব এখন আর নেই। শিগগিরই তৃতীয় মিটিংয়ে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দেয়া কাজগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এ বছর জানুয়ারিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেও এখনো পর্যন্ত সংগঠনটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। এই কারণে সমিতির স্বার্থে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইতোমধ্যে দুইটি মিটিং হয়েছে নতুন কমিটির। গত দুই মিটিংয়ে জায়েদ-মিশা প্যানেলের পাস করা অনেকেরই মিটিংয়ে অংশ না নেয়ার কথা জানা গেছে। পরবর্তী মিটিংয়ের তাদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে বা অনুপস্থিত থাকলে সমিতি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অন্য প্যানেল থেকে যারা পাস করেছেন তারা কেন আসেননি আমি বুঝতে পারছি না।