সালাম না দেওয়ায় ছাত্রলীগকর্মীর থাপ্পড়, কানে শুনছেন না ঢাবি ছাত্র

| আপডেট :  ২৫ মে ২০২২, ০৬:২৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ মে ২০২২, ০১:৩১ অপরাহ্ণ

হলের কক্ষে বসে অনলাইনে টিউশনের ক্লাস নিচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েক কর্মী তাঁর কক্ষে যান। ক্লাস চলছিল বলে ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের সালাম দিয়ে তাঁদের সঙ্গে করমর্দন করতে দেরি হয় ওই ছাত্রের। এই ‘অ’পরাধে’ ওই ছাত্রকে থা’প্পড়, কিল-ঘু’ষি ও লা’থি মে’রেছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় আজ বুধবার হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অ’ভিযোগ দিয়েছেন ভু’ক্তভোগী ছাত্র।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার কিছু পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্যসেন হলের ২৪৯ নম্বর কক্ষে এ মা’রধরের ঘটনা ঘটে। ভু’ক্তভোগী ছাত্র সাজ্জাদুল হক নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) অধ্যয়নরত। তাঁকে মা’রধরে অ’ভিযুক্ত মানিকুর রহমান ওরফে মানিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) ছাত্র। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

নি’র্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ভু’ক্তভোগী সাজ্জাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমি আমার কক্ষে (২৪৯ নম্বর) অনলাইনে একটি টিউশনের ক্লাস নিচ্ছিলাম। এর মধ্যে মানিকুর রহমানসহ চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন ছাত্র আমাদের কক্ষে আসেন। তাঁরা আমাকে ডাকেন। তাঁরা চাইছিলেন, আমি উঠে গিয়ে তাঁদের সালাম দিই ও তাঁদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করি। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস চলছিল বলে আমি তাঁদের বলি যে ক্লাসটা শেষ করে আমি উঠছি।

ক্লাস চলার সময়ই মানিকুর আমাকে কলার ধরে টান দেন। একটু পরে ক্লাস শেষ করে খাটের সামনে যেতে না যেতেই মানিকুর আমার কানে ও মুখে সজো’রে থা’প্পড় দেন। তিনি আমাকে অকথ্য গা’লিগা’লাজ করতে থাকেন। মানিকুর আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘু’ষি মা’রতে থাকেন এবং একপর্যায়ে জো’রে লা’থিও দেন।’

এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বরাবর লিখিত অ’ভিযোগ করেছেন বলে জানান সাজ্জাদুল হক। তিনি বলেন, আমি আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায় শা’রীরিক ও মা’নসিক নি’র্যাতনের বিচার চাই। আজ (বুধবার) সকালে হল কার্যালয়ে গিয়ে একজন আবাসিক শিক্ষকের কাছে প্রাধ্যক্ষ বরাবর লেখা অ’ভিযোগটি জমা দিয়েছি। তিনি বলেছেন, ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেছেন, সাজ্জাদুলকে মা’রধরের ঘটনায় অ’ভিযুক্ত মানিকুর রহমান ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এ রকমটা আগে কখনো হয়নি। কথা-কা’টাকাটি থেকে থা’প্পড় দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর মানিকুর রহমান দুঃখ প্রকাশও করেছেন। দুজনের সঙ্গে (অ’ভিযোগকারী ও অ’ভিযুক্ত) কথা বলে আমরা বি’ষয়টি ঠিক করে নেব।’ এ বি’ষয়ে জানতে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সূত্রঃ প্রথম আলো