মাঠে বসেই ছেলের স্মরণীয় অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস উপভোগ করলেন মুশফিকুর রহিমের বাবা

| আপডেট :  ২৪ মে ২০২২, ০২:৫৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ মে ২০২২, ০২:৫৩ অপরাহ্ণ

শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে লিটন দাসকে সাথে নিয়ে অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের কত গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার সেটিতে নিয়ে আবারও প্রমাণ করেছেন। দলের সবাই যখন ব্যর্থ তখন লিটন দাসকে সাথে নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুশফিকুর রহিম।

দুইজন মিলে গড়ে তোলেন ২৭২ রানের পার্টনারশিপ। তবে লিটন দাস আউট হওয়ার পর যোগ্য সঙ্গী হিসেবে পেলেন কাউকেই। মুশফিককে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে সেটাইতো স্মরণীয় ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। ছেলের এই দুঃসাহসিক ইনিংসে মাঠে বসে দেখেছেন মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হাবিব। আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে বসে ছেলের খেলা দেখেছেন তিনি।

৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলায় শুরু করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো মনে হলেও দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরলেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার দাস। এর মাধ্যমে ২৭২ রানে থেমেছে লিটন মুশফিক জুটি।

কাসুন রাজিথার বলে আউট হওয়ার আগে ১৪১ রান করেন লিটন কুমার দাস। ২৪৬ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ১৬টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো। একই ওভারে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

এ সময় কিছুটা চাপেই পড়ে বাংলাদেশ দল। তবে অষ্ঠম উইকেট জুটিতে তাইজুল ইসলামকে আবারও দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নিতে থাকে মুশফিক। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ইনিংসটাও দেড়শ ছাড়িয়েছেন তিনি। এই জুটিতে আসে ৪৯ রান। তাইজুল আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। আর নবম উইকেটে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান তুলতে পারেননি খালেদ আহমেদ।

দশম উইকেটে ইবাদত হোসেনকে নিয়ে লঙ্কানদের খানিক ভুগিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এ সময় দুজন মিলে খেলেছেন ৯.১ ওভার। এরপরও বাংলাদেশের শেষ উইকেটটি নিতে পারছিলেন না লঙ্কান বোলাররা। অবশেষে ইবাদত রান আউট হলে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ২০ বলে কোনো রান করতে পারেননি ইবাদত।

এদিকে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। ৩৫৫ বলে খেলা তার এই শৈল্পিক ইনিংসটি ২০টি চারে সাজানো। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৬৫ রান। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন কাসুন রাজাথা। আর আসিথা ফার্নান্দো পেয়েছেন চারটি উইকেট।