থানা হাজতে ধ’র্ষণ, রেল পুলিশের সাবেক পরিদর্শক কারাগারে

| আপডেট :  ২৩ মে ২০২২, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ মে ২০২২, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশ: খুলনায় রেলের বহুল আলোচিত ধ”ণ মা’মলার আ’সামি ওসমান গনিকে কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে। মহানগর দায়রা জজ আ’দালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন রবিবার (২২মে) ওসমান গনিকে কা’রাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মা’মলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভু’ক্তভোগী ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার যশোরে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরের দিন যশোর থেকে ট্রেনে করে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনের টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর একজন নারী পুলিশসহ আরও দুজন পুলিশ তাকে কোন কিছু না জানিয়ে গ্রে’ফতার করে। সঙ্গে থাকা উপস্থিত নারী পুলিশ ভু’ক্তভোগীকে চড় মারে। এতে ওই নারীর দাম চোখে আ’ঘাত লাগে এবং কিছুটা ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়।

ট্রেন খুলনায় পৌঁছালে ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ওই নারীর সাথে তার স’ন্তান ছিল। রাতে পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি থানায় আসলে আ’টক হওয়া নারী বলেন, ‘আমার কাছে পুলিশ কোনো কিছু পায়নি তবে কেন আমাকে আ’টক রাখা হয়েছে।’ হাজত থেকে বের করে তাকে অফিস রুমে নেওয়া হয়। তখন পুলিশ কর্মকর্তা অন্যান্য পুলিশ সদস্যকে বাইরে রেখে দরজা বন্ধ করে দিতে বলে।এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে এবং এক সময়ে তাকে ফ্লোরে ফে’লে দেয়। পরে চি’ৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রাত ১টার দিকে আবারও থানায় আসেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। রেলওয়ে থানার এক ডিউটি অফিসার রাতে চোখ বেধে তাকে ওসির রুমে দিয়ে আসেন। ওড়না দিয়ে মুখ বা’ধা হয়। যেন চি’ৎকার করতে না পারে। চোখের বাধন খোলার পর পরিদর্শক উছমান তাকে বলতে থাকে কোথায় লেগেছে। এরপর ওই নারীকে ধ”ণ করেন খুলনা জিআরপি থানা পুলিশ পরিদর্শক উছমান গনি পাঠান। পরে মা’মলা না করার হু’মকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।

পরে ভু’ক্তভোগী খুলনা রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নামে রেলওয়ে থানায় মা’মলা দা’য়ের করেন। মা’মলার ত’দন্তে মাঠে নামেন রেলওয়ে সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ।

অ’ভিযুক্ত ওসমান গনির বি’রুদ্ধে আ’দালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি। ঘটনার সাথে অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ব্যাপারটি প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে এ মা’মলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।