ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের ৬০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি

| আপডেট :  ২১ মে ২০২২, ০৩:০৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ মে ২০২২, ০৩:০৯ অপরাহ্ণ

জাতীয়: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। আয় নির্দিষ্ট অংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ব্যয় বেড়েছে বহুগুনে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত সীমিত আয়ের লোকজন। নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান না করা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি। আজ শনিবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর গত সাত বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসা ব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান অত্যাবশ্যক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান বলেন, অবিলম্বে কর্মচারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে স্থায়ী বেতন কমিশন ও স্থায়ী চাকরি কমিশন গঠন করতে হবে। জীবন যাপনের ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অবিলম্বে নতুন (৯ম) জাতীয় কমিশন ঘোষণা ও ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক ঘোষিত বেতন কমিশনের ন্যায় ১০টি বেতন স্কেলে নতুন বেতনস্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে।

সমিতির মহসচিব বলেন, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনপ্রবর্তন করতে হবে। তৃতীয় শ্রেণির সকল কর্মচারীদের শতভাগ টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আইসিটি সংশ্লিষ্ট জনবলের রেডিয়েশন ভাতা শতকরা ৩০ ভাগ, পাহাড়ি জনবলের পাহাড়ি ভাতা শতকরা ৩০ ভাগ ও কক্সবাজারসহ পযটন এলাকার মূল বেতনের ৫০ পারসেন্ট পযটন ভাতা দিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রবর্তন করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগে আউটসোর্সিং প্রথা বন্ধ করে তৃতীয় শ্রেণির সকল শূন্য পদে অবিলম্বে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।