শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রনিল

| আপডেট :  ১২ মে ২০২২, ০৮:১৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ মে ২০২২, ০৮:১৭ অপরাহ্ণ

শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে তাকে শপথ পাঠ করিয়েছেন। রনিল এর আগেও চার বার বিভিন্ন মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শ্রীলংকার দ্য ডেইলি মিরের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরপর (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টার পরপর) শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ নিয়েই রনিল আশীর্বাদ নিতে চলে যান ওয়ালুকার্মা মন্দিরে।

ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির বর্ষীয়ান নেতা রনিল। শ্রীলংকার বর্তমান ২২৫ সদস্যের সংসদে তার দলে তিনিই একমাত্র সংসদ সদস্য। এর আগে তিনি ১৯৯৩ সালের মে থেকে ১৯৯৪ সালের আগস্ট, ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৪ সালের এপ্রিল, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর এবং এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করেন।

চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে দেশটির শিল্প ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নীতি ও অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা।

শ্রীলঙ্কা বর্তমান ঋণ ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছরই দেশটির ৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের কথা। তবে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুত মাত্র ৫ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। ফলে দেশটি নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্য আমদানি করতে পারছে না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েও সাড়া পায়নি শ্রীলঙ্কার সরকার।

এ পরিস্থিতির জন্য শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং তাদের পরিবারকে দায়ী করে আসছে। খাদ্য ও জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয় বা ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় বিক্ষোভে নেমে পড়েন তারা। বিক্ষোভের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে।

চলমান বিক্ষোভে গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ২০০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমান অচলাবস্থায় পদত্যাগের দাবিও উঠেছিল দেশটিতে। তবে সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। তিনি বুধবার (১১ মে) জানান, এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগসহ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।

এর পরদিন তথা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেই ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্ধ্যায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন রনিল। পার্টির কর্মকর্তা ভাজিরা আবেবর্ধনা জানান, ২২৫ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৬০ জনই রনিলকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে সংসদে তার পার্টির প্রতিনিধিত্ব না থাকার প্রশ্নও অমূলক।