ঘূর্ণিঝড় অশনি’র স্রোতে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো ‘সোনার রথ’?

| আপডেট :  ১১ মে ২০২২, ০৭:০২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ মে ২০২২, ০৬:৫৪ অপরাহ্ণ

এক লহমায় দেখে মনে হতে পারে এ যেন সোনার রথ! ঘূর্ণিঝড় অশনির আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। অভিমুখ বদলে দক্ষিণের এই রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন অশনি। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রের বিভিন্ন এলাকায় অশনির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এই আবহে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এল সোনার রথের মতো দেখতে একটি কাঠামো।

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সুন্নাপাল্লি উপকূল এলাকায় রথের আদলে ওই কাঠামোটি উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মায়ানমার, মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ড থেকে সমুদ্রের স্রোতে ভেসে এসেছে কাঠামোটি। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে ওই কাঠামোটি উদ্ধার করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে যেরকম গুম্ফা দেখা যায়, তার সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে এই কাঠামোটির। এদিকে, অশনি ঘিরে আতঙ্কের মধ্যেই সোনার রথের আদলে এই কাঠামো দেখতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।

এদিকে, অভিমুখ বদলে অন্ধ্রের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। জানা যাচ্ছে, কাঁকিনাড়া উপকূল স্পর্শ করবে অশনি। আর এতেই শঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। ঘূর্ণিঝড় অশনির আশঙ্কায় অন্ধ্রপ্রদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাঁকিনাড়া উপকূল ছোঁয়ার পর কাঁকিনাড়া ও বিশাখাপত্তনমের মাঝে সমুদ্রে এসে পৌঁছবে সাইক্লোন।

এই প্রসঙ্গে বিশাখাপত্তনম সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টারের ডিরেক্টর সুনন্দা জানিয়েছেন, ”অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা ও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গত ৬ ঘণ্টায় ঝড়ের অভিমুখ বদলেছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর অগ্রসর হচ্ছে। ফলে, অন্ধ্রপ্রদেশের অনেক কাছে রয়েছে অশনি।” ঝড়ের দাপটে কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফসল ক্ষতিও হতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের।

তীব্রতা হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। ধীরে ধীরে আরও শক্তিক্ষয় হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নিম্নচাপে পরিণত হবে অশনি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে অশনি অন্ধ্রপ্রদেশের মাছিলিপতনম থেকে ৬০ কিমি দূরে রয়েছে অশনি। অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া থেকে দূরত্ব ১৮০ কিমি। বিশাখাপত্তনম থেকে ৩১০ কিমি দূরে রয়েছে সাইক্লোন।

পুরী থেকে অশনির দূরত্ব ৬৬০ কিমি।ঘূর্ণিঝড় অশনির নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষায় যার অর্থ ক্রোধ। ২০২০ সালে IMD-র পক্ষ থেকে ১৬৯টি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ১৩টি ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (WMO) সদস্য দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই ওই ১৬৯টি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। সূত্রঃ এইসময়