চারদিন পর আবারও ট্রেনে উঠলেন সেই টিটিই শফিকুল

| আপডেট :  ১০ মে ২০২২, ০৩:২৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ মে ২০২২, ০৩:২৩ অপরাহ্ণ

রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণকারী তিনজনকে জরিমানা করে বরখাস্ত হওয়া সেই ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর দায়িত্ব পালনে ট্রেনে উঠেছেন। মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন হয়ে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন তিনি।

৭২৭ আপ রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন মো. আল-আমিন শেখ। সোমবার (৯মে) পুনর্বহালের অফিস আদেশ পেয়ে দুপুর ১২টায় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক কার্যালয়ে স্বপদে যোগদানের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর ঈশ্বরদী হেডকোয়ার্টারের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম ট্রেনে টিকিট চেকিং করার অনুমতি পান।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঈশ্বরদী হেডকোয়ার্টারের ভারপ্রাপ্ত টিটিই ইন্সপেক্টর বরকতুল্লাহ আলামিনের কাছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অফিস থেকে দেওয়া কন্ট্রোল অর্ডার (নং ২৮৬, তাং ৮ মে-২০২২) দেওয়া হয়। সোমবার (৯ মে) সকালে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন টিটিই অফিসে উপস্থিত হয়ে যোগদানের আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর মঙ্গলবার (১০ মে) থেকে পুনরায় দায়িত্ব কাঁধে পড়েছে শফিকুল ইসলামের।

রেলপথ মন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলামকে রোববার (৮ মে) দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম আদেশ দেন। এদিকে ওই ঘটনার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত টিটিই ইন্সপেক্টর বরকতউল্লাহ আল-আমিনের মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি রুম ওঠেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে তিন যাত্রী। মাঝপথে তাদের বিনা টিকিটে রেলভ্রমণের দায়ে জরিমানা করেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। এ ঘটনার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়ে গণামধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সমালোচনার মুখে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ওই তিনজনের সঙ্গে তার আত্মীয়তার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেন তারা স্ত্রীর পক্ষের আত্মীয়। আর তার স্ত্রীর নির্দেশেই ওই টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়।