সব
দেশের বর্তমানে অন্যতম আলোচিত ঘটনা রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর অভিযোগে টিটিই বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা। তবে এ ঘটনায় আলোচিত ইয়াসমিন আক্তার নিপা রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আখতার মনি’র মামাতো বোন নয় বলে নিশ্চিত করেছেন নিপার চাচাতো ভাই আবির হাসান।
তিনি জানান, ঈশ্বরদীর নূরুমহল্লা এলাকায় রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আখতার মনি’র নানা এবং ইয়াসমিন আক্তার নিপার দাদা পাশাপাশি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন। রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আখতার মনি’র নানী এবং নিপার দাদীর সাথে ভাব-ভালোবাসাও দীর্ঘদিনের। নানা-বাড়ি যাতায়াতের সুবাদে রেলমন্ত্রীর স্ত্রী’র সাথে নিপার ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো বলে। সেই সূত্রেই রেলমন্ত্রীর স্ত্রী এবারে ঈশ্বরদীতে দীর্ঘদিনের পুরোনো বান্ধবী নিপার বাসায় ঈদ উদযাপন করেন।
এর আগে, ঈদ শেষে ৪ মে দিবাগত রাতে নিপার ছেলে ইমরুল কায়েস প্রান্ত এবং রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আখতার মনি’র দুই মামাতো ভাই ওমর ও হাসান ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে যাওয়ার সময় টিটিই শফিকুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন। টিটিই শফিকুলের দাবি এসি কেবিনে অবস্থান নেওয়া বিনা টিকিটের এই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিলে তিনি পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) নুরুল আলমের স্মরণাপন্ন হন। এসিও এর পরামর্শে এসি কেবিনের টিকিটের পরিবর্তে জরিমানা ছাড়া মোট ১ হাজার ৫০ টাকা সুলভ শ্রেণির ভাড়া নিয়ে টিকিট বানিয়ে দিলেও রোষানলে পড়েন তিনি।
এ ঘটনায় নিপার ছেলে ইমরুল কায়েস প্রান্ত লিখিতভাবে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে টিকিট না দিয়ে অনৈতিকভাবে ৫০০ টাকা করে তিন জনের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণের অভিযোগ করেন। প্রান্ত আরো অভিযোগ করেন, টিটিই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং লাথি মেরে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন বলে জানা যায়। কাউন্টারে টিকিট না পাওয়ায় তাড়াহুড়া করে তারা এসি কেবিনে উঠে পড়েন বলে প্রান্ত দাবি করেন।
এই অভিযোগের জেরে পরবতীতে টিটিইকে বরখাস্ত করা হয় কিন্তু বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত হওয়ায় বরখাস্ত করার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।