স্ত্রীও বুঝে উঠতে পারেনি আমি কী ধরনের মানুষ: রেলমন্ত্রী

| আপডেট :  ৮ মে ২০২২, ০২:২৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ মে ২০২২, ০২:২৮ অপরাহ্ণ

রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলামে বরখাস্ত করতে রেলওয়ের পাকশী জোনের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে ফোন করে এবার বিপাকে পড়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শামীমা আক্তার মনি।

স্ত্রীর কাণ্ডে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়া রেলমন্ত্রী সুজন রোববার রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি ১১ থেকে ১২ বছর ধরে এমপি, আমার একটা ক্যারিয়ার আছে। আর ৯ মাস হলো নতুন বিয়ে করেছি, শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় এমনকি আমার নতুন স্ত্রীও এখনও আমাকে বুঝে উঠতে পারে নাই আমি কি ধরনের মানুষ।’নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘সবার সহযোগিতা নিয়ে একটা মানুষ ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমি সবার সহযোগিতায় আজকে এ পর্যন্ত এসেছি।’

এ সময় তিনি যারা রেলের দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে যাত্রী সেবার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে আচারণও পরিবর্তনের কথা বলেন। এ সময় তিনি বরখাস্ত করা সেই টিটিই শফিকুলের বরখাস্তের আদের্শ প্রত্যাহার করে নেন।

গত শুক্রবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ভাগ্নে পরিচয় দেওয়া তিন যাত্রী। তারা হলেন, মন্ত্রীর স্ত্রীর বোনের ছেলে ইমরুল কায়েস প্রান্ত ও তার চাচাত ভাই ওমর ও হাসান।

টিকিট না থাকলেও এই তিনজন খুলনা থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন এক্সপ্রেসের এসি কেবিনের আসন দখল করেন। তখন টিটিই শফিকুল ইসলাম তাদের কেবিন থেকে বের করে শোভন বগিতে পাঠান এবং ৩৫০ টাকা করে জরিমানা করেন। এরপরই ট্রেন ঢাকায় পৌছার আগেই মধ্যপথে ভোররাতে টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়।

মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া সেই তিন যাত্রীর একজন ইমরুল কায়েস প্রান্তের মা ইয়াসমিন আক্তার নিপা পরে সমকালকে বলেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার মনির ফোনের পরই ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) বরখাস্ত হন। নিপা মন্ত্রীপত্নীর মামাত বোন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

শুক্রবারের ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে রোববার বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার (ডিসিও) কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে শফিকুল ইসলামকে। রেলের পাকশী বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করা ডিসিও নাসির উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে দাবি করেছেন, শফিকুল মানসিক বিকারগ্রস্ত। অতীতেও তিনি যাত্রী ও সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।