আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন নীতিমালার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক

| আপডেট :  ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০১:৫৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০১:৫৬ অপরাহ্ণ

অর্থনীতি: আমদানিতে জামানত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি পরবর্তী অর্থায়নের নীতিমালার শর্ত শিথিল করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিল্পের কাঁচামাল, কৃষি খাতের যে সকল পণ্য আমদানি করা হয় এসব পণ্যের ঋণের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জাহাজের স্বল্পতা, পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া সহ বিভিন্ন কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করার জন্য এবং আমদানি কার্যক্রমকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল রাখতে এ সকল নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। L রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণ যে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন হিসেবে বিবেচিত হবে না তা নতুন সার্কুলারে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের জুনে এ-সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে ঋণের মেয়াদ এর ব্যাপারে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য তথা- চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা, ভোজ্যতেলে আগের মতোই সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য অর্থায়ন করা যাবে। অন্যান্য ট্রেডিং পণ্যে এখন থেকে মেয়াদ হবে ১২০ দিন। আর সার, বীজ, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি এবং প্রাণিজ খাতের আমদানি পণ্য যেমন- মৎস্যসহ গৃহপালিত পশুপাখির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ, ভ্যাকসিন, ওষুধের ক্ষেত্রে ১৮০ দিন মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এগুলোর মেয়াদ নির্ধারণ করা ছিল না। এ ছাড়া শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে আগের সর্বোচ্চ ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ২১০ দিনের জন্য ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অন্যান্য ট্রেডিংয়ে আগের মতোই ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। শিল্পের কাঁচামালে বাড়ানো যাবে আগের মতোই ৬০ দিন। আর কৃষি খাতের পণ্যের ক্ষেত্রেও ৬০ দিন মেয়াদ বাড়ানো যাবে। অন্যদিকে স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া যাবে না।