কক্সবাজারে ঈদের ১০ দিন আগে হোটেল-মোটেলের ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকড

| আপডেট :  ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০২:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০২:১৯ অপরাহ্ণ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বেশিরভার হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রেস্তোরাঁগুলোর মেরামত ও সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। ঈদের ১০ দিন আগেই এ জেলার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকড হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সৈকতের ব্যবসায়ী সমিতি।

তবে, কটেজ ও ফ্ল্যাট ব্যবসায়ীরা কক্ষ আগাম বুকিং দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, রমজানের শুরু থেকে কক্সবাজারে পর্যটক নেই বললেই চলে। একইভাবে পর্যটন জোনের সব ধরনের রেস্তোরাঁও প্রায় ক্রেতাশূন্য। তাই এ সময়টিতে অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়।

হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘রমজানের শুরুতেই পর্যটক না থাকায় বহু হোটেল-কটেজ কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। এতে পুরো রমজান ও ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাঁদের।

সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘রমজানে পর্যটক না থাকায় বেচাকেনা হয় না। তাই দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, ঈদের পর ব্যবসার জন্য নতুন করে মালামাল ওঠানোসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (চুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, ‘পুরো রমজান মাস পর্যটক না থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের ব্যবসার মন্দা চলছে। তবে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে লাখেরও বেশি পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করছেন তিনি। এ ছাড়া সম্প্রতি হোটেল-মোটেলেও প্রায় অর্ধেক শতাংশ কক্ষ ঈদের ১০ দিন আগেই বুকড হয়েছে।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রতি বছরই রমজান মাসে পর্যটকশূন্য থাকার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের সাজসজ্জাসহ সব ধরনের মেরামতে কাজ হয়ে থাকে। সম্প্রতি সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকড হয়ে গেছে। ঈদের আগের দিনগুলোতে বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হতে পারে।’

রমজানের কারণে শুধু হোটেল-রেস্তোরাঁ নয়, পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই ও কাপড়ের দোকানগুলো ৯০ শতাংশ বন্ধ রাখা হয়।কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, রমজানে পর্যটকের উপস্থিতি কম হলেও ঈদের ছুটিতে পর্যটকের সমাগম ঘটবে। তাই, পর্যটকের সেবা নিশ্চিত করতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।