সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের নির্ঘুম রাত

| আপডেট :  ২১ এপ্রিল ২০২২, ০১:২১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ এপ্রিল ২০২২, ০১:২১ অপরাহ্ণ

সারাদেশ: চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ হয় ৬ বছর বয়সী আদিফা ও আলিভা। জমজ দুই কন্যার মরদেহ না পেয়ে ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন মা পান্না বেগম। অপরদিকে ১০ বছর বয়সী নিহত কন্যা আনিকাকে স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কবর দেওয়ার উদ্দেশ্যে।

গত বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাচ্ছিল একটি স্পিডবোট। পথিমধ্যে কুমিরার গুপ্তছড়া ও মাইটভাঙা ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সন্দ্বীপের মগধরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মমতাজ সুকানি বাড়ির মো. আলাউদ্দিন কিছুদিন আগে ওমান যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে এসেছিলেন।

বাবাকে বিদায় জানাতে মামার সঙ্গে আনিকা ও তার ছোট যমজ দুই বোনও শহরে আসে। প্রবাসী বাবাকে বিদায় জানিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে তারা এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।এদিকে ২য় দিনের মতো বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা জানান, ‘নিখোঁজ তিন শিশুকে খুঁজছে কোস্টগার্ড।

স্পিডবোট দুর্ঘটনায় আলাউদ্দিন-পান্না দম্পতির দুই কন্যার মতো নিখোঁজ রয়েছে সৈকত নামে ৯ বছরের এক শিশু। তার বাবা সমীরও আছেন সন্তানের মরদেহ পাওয়ার অপেক্ষায়। সমীর বলেন, ‘মেয়েকে বাঁচাতে পারলেও ছেলেকে উঠাতে পারিনি। আমার ছেলের মরদেহ খুঁজছি।

স্পিডবোটে যাত্রী হিসেবে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী জামাল উদ্দিন জানান, ‘স্পিডবোটে মোট ২০ জন যাত্রী ছিল। নিজের প্রাণ বাঁচাতে স্পিডবোটের ড্রাইভার যাত্রীদের রেখে নদীতে ঝাঁপ না দিলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।’