মাত্র ১ হাজার টাকা পুঁজি থেকে লাখপতি মঞ্জুর

| আপডেট :  ২১ এপ্রিল ২০২২, ১২:২৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ এপ্রিল ২০২২, ১২:২৬ অপরাহ্ণ

সারাদেশ: মাত্র ১ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নামেন শিক্ষিত যুবক মনজুর হোসেন। কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে নিজের বেকারত্ব দূর করেছেন এবং ভাগ্য বদলেছেন এই যুবক।

মঞ্জুর ভোলার লালমোহনে গড়ে তুলেছেন নিজের ভোর্মি কম্পোস্ট খামার। তার এই সার উৎপাদনের ফলে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন হচ্ছে অনেক ভালো ঠিক অন্যদিকে রাসায়নিক সারের জন্য কৃষকের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে না।

উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার যুবক মঞ্জুর হোসেন কৃষকদের কাছে পরিচিত নাম। তার তৈরিকৃত কেঁচো সার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মঞ্জুরকে দেখে গ্রামের অনেক যুবক ও নারীরা এখন ঝুঁকে পড়ছেন বিষমুক্ত কেঁচো বা জৈব সার উৎপাদনে।

ফসলের ক্ষেতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হতো কৃষকদের ঠিক তখন স্বল্পমূল্যের এই কেঁচো সার কৃষকদের আস্থার এক অনন্য নাম। মনজুর হোসেন এর খামারে তৈরি করার সার ব্যাপকহারে ব্যবহার করছেন কৃষকরা। মঞ্জুর মাত্র ২ হাজার টাকা নিয়ে গড়ে তোলেন কেঁচো সারের খামার। বর্তমানে তিনি ৫ লাখ টাকার মালিক। প্রতি মাসে আয় করেন ৩০ হাজার টাকা। নিরাপদ ফসল উৎপাদনে এ সার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দু’বছরে তিনি হয়ে উঠেন সফল খামারি।

মঞ্জুর হোসেন বলেন, দু’বছর আগে কৃষি অফিস থেকে কেঁচো সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছি ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) খামার। অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে এসব সার বিক্রি করছি। কৃষকরা ভালো ফলনও পাচ্ছেন। কেঁচো, গোবর, কচুরিপানা, কলাগাছ, খড়কুটো, কেঁচো ও তরি-তরকারি উৎসৃষ্ট দিয়ে ২৫-৩০ দিনের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে কেঁচো বা জৈব সার। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ সার তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মঞ্জুর হোসেন।