৬০ লাখ টাকার আজব সেতু, উঠতে হয় সিঁড়ি বেয়ে!

| আপডেট :  ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৪১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৪১ অপরাহ্ণ

প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের রামনগর ভাড়ানি খালের ওপর নির্মিত হয়েছে একটি আয়রন ব্রিজ। তবে ব্রিজ নির্মিত হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় তা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী। তাদের দাবি, দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে ব্রিজটি মানুষ ও যানবাহন পারাপারের উপযোগী করে দেওয়া হোক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভাড়ানি খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়ক ছাড়াও নতুন বাজার-রামনগরের একমাত্র সংযোগ মাধ্যম। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) বাকেরগঞ্জ অফিসের তত্ত্বাবধানে ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস রূপালী, যা একমাসেরও বেশি সময় ধরে এলাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজের দক্ষিণ পাশে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়ক। উত্তর পাশে রামনগর সড়ক। এ সড়কটি রামনগর হয়ে নলছিটি উপজেলার মোল্লার হাটের দিকে মিলিত হয়েছে। রামনগর, কাফিলা, মোল্লার হাট, তালতলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা ব্রিজ দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। তবে ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল করতে না পারায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে মহেশপুর বাজার হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে লোকজনকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ঠিকই। কিন্ত সংযোগ সড়ক তৈরি না করে ব্রিজের এক অংশে সাত ধাপের একটি সিঁড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী সেই সিঁড়ি ব্যবহার করে চলাচল করলেও ব্রিজটি দিয়ে যান চলাচল করতে পারছে না। তবে সিঁড়ির পাশ দিয়ে একটি ঢালের মতো বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেটি সম্পন্ন করা হয়নি।

স্থানীয়দের মতে, যান চলাচল করতে না পারায় ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসেনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস রূপালীর স্বত্বাধিকারী সুধান বাবু বলেন, নকশায় যেভাবে ছিল সেভাবেই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে আমার কিছু করার নেই।

অপরদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবুল খায়ের মিয়া বলেন, যেভাবে সংযোগ সড়ক করা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে জায়গা নেই। এক্ষেত্রে সড়কটি দুইপ্রান্ত থেকেই প্রায় এক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে উঁচু করতে হবে। সেক্ষেত্রে সড়কের সঙ্গে ব্রিজের উচ্চতা কমে আসবে, সংযোগ সড়কও তৈরি করা যাবে। এখন সংযোগ সড়ক তৈরি করলে সেটি অনেক বিপদজনক হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে।