কাতারে কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন বাংলাদেশি হাফেজ

| আপডেট :  ১১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

কুরআনের প্রতিটি আয়াতে যেমন রয়েছে বিশ্বমানবতার হেদায়াত ও মুক্তির বারতা তেমনি কুরআন তিলাওয়াতে রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য অফুরান সওয়াব ও পুরস্কারের ঘোষণা।

কাতারে জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় দুটি শাখায় প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশি কিশোর ও তরুণী। আধুনিক কাতারের স্থপতি শেখ জাসেম বিন মুহাম্মদ আলথানির নামে কাতারে প্রতিবছর সরকারি ভাবে জাতীয় পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর অনুষ্ঠিত এই কুরআন প্রতিযোগিতায় তিন শাখার মধ্যে বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত দুই শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি দু’জন হাফেজ। এদের মধ্যে এক শাখায় প্রথম হয়েছেন ১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি কিশোর উসামা। অন্য শাখায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশি তরুণী আয়েশা।

কাতারে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় বয়স কিংবা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা শাখা থাকে না। ফলে এই দু’শাখায় অংশ নিয়েছেন কাতারে বসবাসরত আরব ও অনারব বিভিন্ন দেশের নানা বয়সের হাফেজ নারী ও পুরুষরা।

আর এদের সবাইকে পেছনে ফেলে দুটি শাখায়ই প্রথম স্থান জয় করেন বাংলাদেশি এই হাফেজ কিশোর ও হাফেজা তরুণী। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাতারের ধর্মমন্ত্রী ও সুধীজনরা বাংলাদেশিদের এমন জয়জয়কার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

কাতারের ধর্মমন্ত্রী বলেছেন, পবিত্র কুরআন মুখস্ত বিদ্যায় বাংলাদেশিদের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়।কাতারে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় দুটি শাখায় বাংলাদেশিদের প্রথম হওয়ার খবরে আনন্দিত কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি রমজানের প্রথম সপ্তাহে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।

কাতারের জাতীয় মসজিদে সপ্তাহব্যাপী তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতা শেষে ৮ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী দোহার শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে কাতারের ধর্মমন্ত্রী গানেম বিন শাহিন আলগানেম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার সনদ ও অর্থ তুলে দেন। কাতারে শেখ জাসেম বিন মুহাম্মদ আলথানি কুরআন প্রতিযোগিতার এবারের ছিল ২৭তম আসর।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান নাসের ইউসুফ আলসুলাইতি বলেন, করোনার কারণে দু বছর বন্ধ থাকার পর আবারও এই প্রতিযোগিতা শুরু করতে পেরে আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রায় দেড় হাজার প্রতিযোগী। কাতারি ও বিদেশিদের মধ্যে অংশ নেন হাফেজ নারী ও পুরুষরা। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে মোট ১২ লাখ কাতারি রিয়াল পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।

এ বছরের বিশেষ শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশি তরুণী আয়েশার বাবার নাম উমর ফারুক। তাঁর বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে।

১৯৯৫ সাল থেকে তিনি কাতারে বাস করছেন। বর্তমানে আজিজিয়া এলাকায় একটি মসজিদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
বিশেষ বিভাগে আয়েশা প্রথম হওয়ায় পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন এক লাখ কাতারি রিয়াল। এর আগে আরও ৫ বার পুরস্কার পেয়েছেন আয়েশা। ২০১৫ সালেও প্রথম হয়েছিলেন তিনি।