সংগ্রামী নারী কলার ফেরিওয়ালা শেফালী বেগম

| আপডেট :  ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:১৯ অপরাহ্ণ

স্বামী, এক কন্যা আর এক নাতিসহ চারজনের সংসার শেফালী বেগমের। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী অসুস্থ, মেয়েও তালাকপ্রাপ্তা। তাই চারজনের সংসারের উপার্জনের গুরুদায়িত্ব পড়েছে শেফালী বেগমের কাঁধে। আর একারণে সকলের বেঁচে থাকার তাগিদে শেফালী বেগম মাথায় তুলে নিয়েছেন কলার ঝুড়ি।

মাথায় পাকা কলার ঝুড়ি আর কোলে নাতিকে নিয়ে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া শহরের অলিগলিতে হাঁক ছাড়েন ৪৪ বছর বয়ষ্ক শেফালী বেগম। নিজের সংগ্রাম সম্পর্কে শেফালী বেগম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বাসিন্দা তারা। ভিটেমাটি জমিজমা কিছুই নেই তাদের। অভাবের তাড়নায় গত পাঁচ বছর পূর্বে নওয়াপাড়া শহরের বৌবাজার এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে চলেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী অসুস্থ থাকায় নিজেই তুলে নিয়েছেন সংসারের দায়িত্ব।

বর্তমানে শেফালী বেগম প্রতিদিন বাজার থেকে কাঁচা কলা কিনে তা পাকিয়ে ঝুড়িতে সাঁজিয়ে নাতিকে কোলে তুলে সকালে বের হন কলা বিক্রি করতে। এরপর দুপুরের খাবার শেষে বিকালেও আবার বের হন কলা বিক্রি করতে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা শেষে চাল, ডাল, আটা, তরিতরকারি কিনে বাসায় ফেরেন তিনি।

শেফালী বেগম কাঁদতে কাঁদতে জানান, কলা বিক্রি করে ঘরভাড়া দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালানো গেলেও অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা, নাতির লেখাপড়া আর তালাকপ্রাপ্তা কন্যাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছেন তিনি। কিন্তু তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করতে চান না। কাজ করেই সংসার চালাতে চান। আর একারণে তিনি সমাজের বিত্তবানদের তার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন।