শিক্ষককে ক্লাস থেকে শার্টের কলার ধরে বারান্দায় এনে প্রকাশ্যে চড়-থা’প্পড় মা’রলেন অভিভাবক

| আপডেট :  ৩ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে এক সহকারী শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষ থেকে শার্টের কলার ধরে বারান্দায় এনে প্রকাশ্যে চড়-থা’প্পড় মা’রার অ’ভিযোগ উঠেছে এক অভিভাবকের বি’রুদ্ধে। শনিবার (২ এপ্রিল) শহরের মশুরিয়াপাড়ার গোলাম হোসেন স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষকরা জরুরি সভায় বসেন। সেখানে অ’ভিযুক্ত অভিভাবকের বি’রুদ্ধে মা’মলা করার সিদ্ধান্ত হয়। বিকেলে এ নিয়ে থানায় লিখিত অ’ভিযোগ জমা দেন তারা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার জানান, বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে মাসুম হোসেন নামে এক অভিভাবক (শিক্ষার্থীর বাবা) উত্তেজিত হয়ে অফিসে এসে সহকারী শিক্ষক হামিদুর রহমানকে খুঁজতে থাকেন। কারণ, জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক হামিদুর তার ছেলেকে মে’রেছেন কেন? এ কথা বলেই তিনি দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষে ঢুকে পাঠদানরত অবস্থায় ওই শিক্ষককে শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে বাইরে এনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও চড়-থা’প্পড় মা’রেন। এতে হতভম্ব হয়ে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্কুলভবনের নির্মাণকাজের ঠিকাদার এগিয়ে এলে তাকেও গালাগাল করে মা’রতে যান ওই অভিভাবক।

প্রধান শিক্ষক বলেন, বি’ষয়টি আমরা তাৎক্ষণিক উপজে’লা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।এদিকে শিক্ষককে চড় মা’রার খবরে এলাকায় উ’ত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে দুপুরে ঈশ্বরদী উপজে’লা সহকারী প্রাথমিক অফিসার গোলাম মোস্তফা ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

ঈশ্বরদী উপজে’লা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি, কোন শিক্ষক নাকি ওই অভিভাবকের প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রকে মে’রেছে। বি’ষয়টি ওই অভিভাবক স্পষ্টভাবে কাউকে বলতে পারেননি। তবে শিক্ষক হামিদুর রহমান প্রথম শ্রেণির ক্লাসে ছিলেন না। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে ছিলেন। বি’ষয়টি পুলিশ ত’দন্ত করছে।

শিক্ষক হামিদুর রহমান বলেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না কেন আমাকে মারল। আমি তো পড়াই দ্বিতীয় শ্রেণিতে। কিন্তু প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমার ও’পর হা’মলা করল কেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু ত’দন্ত ও উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

এদিকে অ’ভিযুক্ত অভিভাবক মাসুম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বিদ্যালয় থেকে একটি এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা বি’ষয়টি ত’দন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।