বাজার বেসামাল হবার জন্য রাজস্ব বিভাগ দায়ী: এফবিসিসিআই

| আপডেট :  ২ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ

নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল হবার জন্য রাজস্ব বিভাগকে দায়ী করলেন এফবিসিসিআই সভাপতি। আঙ্গুল তুলেছেন আমদানিকারকসহ পাইকারি ব্যবসায়ীদের দিকে। এমনকি ছেড়ে দেননি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে। প্রশ্ন তুলেছেন চলমান অভিযান নিয়েও।তবে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম আর না বাড়ার আশ্বাস দিয়ে বাজার মনিটরিং কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠন।

রোজা এসে গেলো আবার। আর রমজানের বাজারে তেল, চিনি, ডালসহ অনেক নিত্যপণ্যের কিনতে বাজারে গেলেই রীতিমতো চড়া দামের উত্তাপে পুড়ে ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা। এমন অস্থির বাজারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিম থাকা আর তেল চিনিসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানি কর কমানোর সরকারি উদ্যোগেও সুফলও কেন পাচ্ছে না ক্রেতারা, তা জানতে শনিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজন করে এক সভা।

রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি এই মতবিনিময় সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা হাজির ছিলেন।এ সময় ব্যবসায়ীরা জানান, চাল-পেঁয়াজ কিংবা ভোজ্য তেল কোন পণ্যরই মজুদ সংকট নেই। সংকট এই সরবরাহ ব্যবস্থায়। তবে পণ্যের আমদানি মূল্যের উপর সরকারের দেয়া কর ছাড়ের পরও, বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

তবে, পণ্যের উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত করেন, দেশে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে, সরবরাহও স্বাভাবিক। তাই রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না। তবে, অভিযানের নামে অহেতুক হয়রানি বন্ধ আর পণ্য পরিবহনের পথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিও করেন এসব ব্যবসায়ীরা। এসব নিশ্চিত হলে পণ্যের দাম বাড়ার কারণ নেই।

ব্যবসায়ী-সরকার-এনবিআর-ভোক্তা কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়, এটা সব মহলকে মনে রাখার অনুরোধ এফবিসিসিআই সভাপতির।এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। আমরা ব্যবসা করব, লাভ করব- এটাই স্বাভাবিক। সরকারের পাশে থেকে আমরা চাই সাধারণ মানুষ যেন পণ্যটা ন্যায্য দামে পায়। কিন্তু আমাদেরকে ঢালাওভাবে অনেক কথা শুনতে হয়।

তিনি আরও বলেন, গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর জন্য আমরা সবাই ব্লেম শুনব, সেটা হতে পারে না। আমি বলব না যে, আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমস্যা নাই। সমস্যা থাকতেই পারে। আমি তাদের দায়িত্ব নিব না। আমরা তাদের শাস্তি দিতে চাই। আমি চোর-বাটপারদের প্রেসিডেন্ট না।

তিনি জানান, জানান, রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪৬টি পণ্য সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করবে কমিটির সদস্যরা।

পণ্যের বাজার দর, সরবরাহ পরিস্থিতি, উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার দর সংগ্রহ ও পর্যালোচনা এবং সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করবেন এই কমিটির সদস্যরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্ব আছে বলে মন্তব্য করেন সভাপতি।

সারাবিশ্বে উৎসবকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম কমান। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে এমন সংস্কৃতি বাংলাদেশেও চালু করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।