ছাত্রীকে বাসায় ডেকে শিক্ষক-বাড়িওয়ালা মিলে গণধ’র্ষণ

| আপডেট :  ৩১ মার্চ ২০২২, ০৭:১১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ মার্চ ২০২২, ০৭:১১ অপরাহ্ণ

শেরপুরে নিজ কলেজের শিক্ষার্থীকে (১৬) বাসায় ডেকে এনে গণধ”ণের অ’ভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকসহ তিনজনের বি’রুদ্ধে। অ’ভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম জোবায়ের হোসাইন (২৮)। তিনি শেরপুর নকলা উপজে’লার চৌধুরী ছবরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বি’ষয়ের শিক্ষক।

অপর দুজন শেরপুর শহরের গৌরিপুর মহল্লার লুৎফর রহমান ও আবু রাহাত। শিক্ষক জোবায়ের জে’লার শ্রীবরর্দী উপজে’লার রাণি শিমুল ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুরুজ্জামানের ছেলে। জোবায়ের এক স’ন্তানের জনক।

অ’ভিযুক্তদের মধ্যে ওই শিক্ষক ও লুৎফর রহমানকে রাতেই গ্রে’ফতার করে পুলিশ। অপরজন প’লাতক। আজ দুপুরে ভি’কটিমের স্বা’স্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে শেরপুর শহরের গৌরপুর এলাকায় ওই গণধ”ণের ঘটনা ঘটে বলে অ’ভিযোগ। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মা’মলা করা হয়েছে। অ’ভিযুক্ত শিক্ষককে কলেজ থেকে সাময়িক ব’রখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে ওই শিক্ষক ভি’কটিমকে নকলা থেকে শেরপুর শহরের গৌরিপুরর এলাকার ভাড়া বাসায় ডেকে আনেন। তারপর নানা প্রলোভনে মেয়েটিকে ধ”ণ করেন। বি’ষয়টি বাসার মালিক লুৎফর রহমান বুঝতে পেরে, বাসার মালিকের বন্ধু আবু রাহাতকে খবর দেন।

এবার লুৎফর ও রাহাত ছাত্রীর ধ”ণের বি’ষয়টি ফাঁ’স করে দেওয়ার ভ’য় দেখিয়ে মেয়েটিকে বা’ধ্য করে পালাক্রমে ধ”ণ করেন। রাত ১০টার দিকে ভি’কটিমকে মোটরসাইকেলযোগে নকলা পর্যন্ত এগিয়ে দেন ওই শিক্ষক। মেয়েটি বাসায় পৌঁছে ঘটনা স্বজনদের জানান। স্বজনদের সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষার্থী ৯৯৯ এ ফোন করলে রাতেই কলেজ শিক্ষককে গ্রে’ফতার করে নকলা থানা পুলিশ।

আজ ভোরের দিকে শেরপুর থেকে বাসার মালিক লুৎফরকে গ্রে’ফতার করে সদর থানা পুলিশ। লুৎফর স্থানীয় আব্দুর রহিমের ছেলে। শিক্ষার্থীর বাবা মা চিকিৎসাজনিত কারণে বর্তমানে ভারতের চেন্নাই রয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মেদ বলেন, অ’ভিযুক্তদের রি’মান্ড চেয়ে আ’দালতে পাঠানো হয়েছে। অপর অ’ভিযুক্ত রাহাতকে পুলিশ খুঁজছে।