সব
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে রাজধানীতে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে মাদ্রাসা সুপার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল চাকরিতে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বার এমপিওভুক্ত করাবেন। সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে হারিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। শুধু নিজেরটা নয়, সাথে আরো ১৭ জন সহকর্মীকে জড়িয়েছেন।
একই কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর এ কে দারুস সুন্না দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত কয়েকজন টাকা দিয়েছিলেন। সব টাকা যার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল তিনি ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতেদ্বীন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধা।
শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নয়, সকল প্রকার তদবির বাণিজ্য তিনি সিদ্ধহস্ত। সরল বিশ্বাসে অহিদুজ্জামান সহ আরো ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেশ মোটা অংকের টাকা দিয়েছিল ইউসুফ মৃধাকে। ঢাকা পকেটের ঢুকলেও কাজ হয়নি আজও। সহকর্মীদের চাপ এবং সংসারের চাকা সচল রাখতে ক্লান্ত আজ ওয়াহিদুজ্জামান। ইউসুফ মৃধার কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ওয়াহিদুজ্জামান।
সবকিছুর মিলিয়ে এখন দিশেহারা ওয়াহিদুজ্জামান জীবিকা নির্বাহ করছে রিকশা চালিয়ে। ভুক্তভোগী বলেন, মামলা পরিচালনা করতে বিকল্প কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে রিক্সা চালানোকে বেছে নিয়েছেন তিনি। অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধা বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। এর আগে কিছু বলা ঠিক হবে না।