সব
যশোরের অদম্য সাহসী মেয়ে তামান্না আক্তার নুর। জন্ম থেকেই তামান্নার শরীর এ দুটি হাত আরেকটি পা নেই। শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও এইচএসসি পর্যন্ত টানা ভাল ফলাফল করেছে তামান্না। এরপর তামান্নার দায়িত্ব নিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা।
অদম্য সাহসী তামান্না পড়তে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিতে এবং কাজ করতে চান তার মতো শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মানো মানুষের কল্যানে।
পা ছাড়া একটা মানুষ কিভাবে চলাচল করতে পারে? হাত ছাড়া একটা মানুষ কিভাবে লিখতে পারে? যে সন্তানের হাত পা নেই সেই সন্তানকে কিভাবে বছরের-পর-বছর কোলে করে গ্রামের রাস্তায় হুইলচেয়ারে ঠেলে বাবা-মা স্কুল কলেজে পড়ালেখা করান, সমাজকে পাত্তা না দিয়ে কতটা সাহসী তারা?
স্টিফেন হকিংসকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন তামান্না। আবিষ্কার এবং সমাধানের নেশায় মেতে উঠতে চান হুইলচেয়ারে আটকানো তামান্না।
জন্মের পর তামান্নার মাকে অপয়া বলে তালাক দিতে চেয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু তামান্নার বাবা পূর্বসূরিদের ভিটে ছেড়ে তামান্না এবং তামান্নার মাকে নিয়ে আলাদা বসবাস শুরু করেন। আজও তামান্নার বাবার আস্থা সেই আগের মতই।
বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্টের করে দেয়া সঞ্চয়পত্রে চলছে তামান্নার খরচ। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ের দায়িত্বে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। এবার ডিজিটাল লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম- নগদ তামান্নার হাতে তুলে দিলো শুভেচ্ছা উপহার। নগদের কাছে তামান্নার চাওয়া, সামর্থ্যবানরা যেনো তার মতো মানুষের পাশে থাকেন।