আইজিপি-ডিএমপি কমিশনারকে আ.লীগে নিয়ে নিন: সংসদে হারুন

| আপডেট :  ২৯ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামকে ‘আওয়ামী লীগে নিয়ে নেওয়া’র জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ‘অনুরোধ’ করেছেন বিএনপির দলীয় সং’সদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ।সোমবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সং’সদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এ কথা বলেন তিনি।

সং’সদে হারুন বলেন, ‘যে বি’ষয়টি উ’দ্বেগের—পুলিশের আইজিপি ও কমিশনার যে ভাষায় কথা বলছেন, পোশাক খুলে তাদের রাজনীতিতে দেন না কেন? তাদের আওয়ামী লীগে নিয়ে নিন। তারপর যা ইচ্ছে তারা বলুক। পুলিশের আইজিপি ও কমিশনার ওই পোশাক পরে যে ভাষায় কথা বলেছে, এটা বলতে পারে না।’

তিনি বলেন, অ’পরাধীদের স্থান পুলিশে হবে না। পুলিশে অ’পরাধের সংজ্ঞা কী? উনি নিজে যে অ’পরাধ করছেন—বোট ক্লাবের সভাপতি এখনও রয়েছেন। এটি কোন সংবিধানে আছে, এখন পর্যন্ত স্ব’রা’ষ্ট্রমন্ত্রী জাতিকে জানাননি। অ’পরাধ যদি শীর্ষ জায়গা থেকে হয়ে থাকে, তার বি’রুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আপনি পুলিশ সদস্যদের কী অ’পরাধে ব্যবস্থা নিবেন। শীর্ষ পর্যায়ে যারা রয়েছেন। তারাই সবচেয়ে বেশি অ’পরাধ করছেন।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দুর্বি’ষহ য’ন্ত্রণায় রয়েছে বলে সং’সদে জানান হারুন। তিনি বলেন, আজকে টিসিবির পণ্য প্রায় ১ কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্যে দেওয়া হচ্ছে। সব থেকে বেশি উ’দ্বেগের যেটা হলো—সব জে’লা ও উপজে’লায় টিসিবির ডিলার রয়েছে কিন্তু এখন গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসন যন্ত্র প্যাকেজিংয়ের কাজে লিপ্ত হয়ে গেছে। প্রশাসনের কাছে জনগণ সেবা পাচ্ছে না।

গত একমাস যাবত তারা প্যাকেট করছে তেল, ডাল ও চিনি দুই কেজি করে, গরিব মানুষকে এই প্যাকেজ নিতে বা’ধ্য করা হচ্ছে। একজন রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরের ছোলা ও খেজুরের প্রয়োজন নাই। ওই পণ্যগুলোর মধ্যে তার হয়তো পেঁয়াজ ও তেল দরকার কিন্তু এখন গোটা পণ্যগুলো নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোনও অবস্থাতেই স’রকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বাম জোটের হরতালে পুলিশের লা’ঠিচার্জের কথা ইঙ্গিত করে হারুন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে যারা কথা বলতে চেষ্টা করছে, তাদের পুলিশ দিয়ে দ’মন করা হচ্ছে। এইভাবে তো চলতে পারে না। মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় গোটা দেশের স্কুল, কলেজ ও রাস্তাঘাট নির্মাণ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন হারুন। নিত্য পণ্যের জন্য টিসিবির মাধ্যমে সমন্বয় হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ কিসের মাধ্যমে সমন্বয় করবেন?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম ব্যাচের র‌্যাগ ডে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করে হারুন বলেন, আমাদের স’ন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি যা ইচ্ছা তা করার জন্য নয়। সেখানকার শিক্ষার্থীরা বলছেন, ম’দ, গাঁ’জা ও হিরোইন বিক্রি হয় দেদারসে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি করছে? ভাইরাল হওয়া ভিডিও আমিও দেখেছি, মনে হচ্ছে হলিউড, না হয় বলিউডের কোন দৃশ্য। বাংলাদেশে যা ইচ্ছা তাই চলতে পারে না বলেন এমপি হারুন।