ম্যানহোলের ঢাকনা চু’রি করে ফুলে ফেঁপে ওঠেন কা’উন্সিলর পা’গলা মিজান

| আপডেট :  ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:১০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:১০ পূর্বাহ্ণ

বা’হিনী গঠন করে ম্যানহোলের ঢাকনা চু’রি; এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন মা’দক কা’রবারীদের গ’ডফাদার। ১৯৯৪ সালে তিনি কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়ে যান।রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাবেক ওয়ার্ড কা’উন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগ’লা মিজানের সর্ম্পকে এমন তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বি’ভাগের (সি’আইডি) ত’দন্তে।

সি’আইডি বলছে, অ’বৈধভাবে ২০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মিজান। এ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তার নামে রয়েছে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট। তার বি’রুদ্ধে অর্থ পা’চার আইনের মা’মলার চা’র্জশিটে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি সি’আইডি আ’দালতে ওই চা’র্জশিট জমা দেয়।

গত বছর আইন শৃঙ্খলা বা’হিনী ক্যা’সিনো ও দু’র্নীতিবি’রোধী অ’ভিযান শুরু করলে হাবিবুর রহমান মিজান বিদেশে পা’লানোর চে’ষ্টা করেন। এরপর ১১ অক্টোবর র‌্যা’ব তাকে মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি বাসা থেকে অ’স্ত্রসহ গ্রে’প্তার করে। পরে তার বি’রুদ্ধে সেখানে অ’স্ত্র আইনে মা’মলা হয়।

র‌্যা’ব তার ঢাকার বাসায় অ’ভিযান চা’লিয়ে ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক ও এক কোটি টাকার এফডিআর উ’দ্ধার করে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় অর্থ পা’চার আইনে (মানিলন্ডারিং আইন) মা’মলা হয়। এ মা’মলায় ত’দন্ত শেষে সি’আইডি আ’দালতে চা’র্জশিট জমা দেয়।

মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা সি’আইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদের দেওয়া চা’র্জশিটে মিজানুর রহমানের অ’বৈধ আয় ও তার উত্থানের বি’ষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, মিজান গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি থেকে ১৯৭৩ সালে ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুর এলাকায় নানা অ’পরাধে জ’ড়িয়ে প’ড়েছিলেন। ছি’নতাই করে পা’লিয়ে যাওয়ার সময় পু’লিশ তাকে আ’টক করলে র’ক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি নিজেই বি’বস্ত্র হয়ে দৌড়াতে থাকেন। তখন থেকে লো’কজন তাকে পাগ’লা মিজান নামে চেনে। এক পর্যায়ে নিজে বা’হিনী গঠন করে ম্যানহোলের ঢাকনা চু’রি শুরু করে তার গ্রুপের লো’কজন। ধীরে ধীরে মিজান হয়ে ওঠেন মা’দক কা’রবারীদের গ’ডফাদার। ১৯৯৪ সালে তিনি কা’উন্সিলরও নির্বাচিত হয়ে যান।

চা’র্জশিটে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে মিজান মিরপুরে একটি মিষ্টির দোকান দিয়েছিলেন। ৮০’র দশকে গণপূর্তের ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ২০০১ সালে বছিলায় একটি ইটভাটা দেন। ওই এলাকাতেই ‘হাবিব প্লাজা নামে একটি মার্কেট, লালমাটিয়ার স্বপ্নপুরী হাউজিংয়ে সাতটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুর আওরঙ্গজেব রোডে একটি ফ্ল্যাট এবং পল্টনে পুরো পাঁচতলা ভবনে ১০টি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়া তিনি ঢাকার হজ কাফেলা অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক। এর বাইরে মা’দক ব্যবসার ভাগ, দ’খল ও ত্রা’সের ‘রাজত্ব করে তিনি টাকা কামিয়েছেন। তার স্ত্রীর নামেও তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

সি’আইডির ত’দন্ত সংশ্নিষ্ট একজন কর্’মকর্তা জানিয়েছেন, মিজানের স্ত্রী মনি রহমানের নামে তিনটি ফ্ল্যাট ছাড়াও তিনটি গাড়ি রয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে তার নামে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫৪ টাকা পাওয়া গেছে। তবে ক’রোনা আ’ক্রান্ত হয়ে তিনি মা’রা যাওয়ায় তাকে চা’র্জশিটভুক্ত আ’সামি করা হ’য়নি।