সব
‘পরিবার, সমাজ আমাদের মেনে না নিলে মেরে ফেলুক। আমরা বাঁচলে একসঙ্গে বাঁচব, মরলে একসঙ্গে মরব। পুলিশ, র্যাব যদি আমাদের মাইরা ফেলতে চায় তাহলে একসঙ্গে মাইরা ফেলব আর বাঁচাই রাখতে চাইলে একসঙ্গে বাঁচাই রাখবে।’- এভাবেই বিলকিসের প্রতি গণমাধ্যমের সামনে নিজের ভালোবাসা ব্যক্ত করছিলেন আঁখি।
অপরদিকে এ বিষয়ে বিলকিস বলেন, ‘আঁখির জন্য আমি নোয়াখালী থেকে আসছি। আমি ওকে ভালোবাসি। দুই বছর ধরে আঁখির সঙ্গে আমার ফেসবুকে কথা হয়। এরপর আমরা ঢাকায় একসঙ্গে দেখা করি। চাকরি করে আমরা একসঙ্গে ঢাকায় থাকছি। পরে পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং এ ঘটনা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু আমরা একে অপরকে ছাড়া বাঁচব না।’
এদিকে এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে বিলকিস ও আঁখিকে দেখতে আসছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ বলছেন এমন প্রেমের ঘটনা জীবনেও দেখেননি। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এই দুই মেয়ের সম্পর্কে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আঁখি ও বিলকিসের মধ্যে। দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। সুযোগ বুঝে নোয়াখালীর নুরুল ইসলামের মেয়ে বিলকিস ভালোবাসার টানে টাঙ্গাইলের মেয়ে আঁখির কাছে ছুটে এসেছেন।